প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ৫:১৯ PM
ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজার পাশাপাশি এখন পশ্চিমতীরেও বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জেনিনসহ কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার। এটি অধিকৃত পশ্চিমতীরে কয়েক মাসের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। জেনিনে ড্রোন দিয়ে হামলার পাশাপাশি শহরের শরণার্থী শিবিরে বড় ধরনের অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশ। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার জেনিনে আকাশ থেকে ড্রোন দিয়ে চালানো হামলায় পাঁচজন নিহত হন। এছাড়াও পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলীয় কাফর কুদে ইসরায়েলি বাহিনী দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে। আর বেথেলহেমে আরেকজন তরুণ নিহত হন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পশ্চিম তীরের তুবাস এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরসহ চারজন নিহত হন। জেনিন থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে ইসরায়েলি বাহিনী স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ওই মানি এক্সচেঞ্জটি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি ইসরায়েলের। এরপর মঙ্গলবার সকালে জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। আল জাজিরা জানায়, সোমবার তুবাসের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী যখন অভিযান শুরু করে তখন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা ছদ্মবেশে আসা ইসরায়েলি বাহিনীর একটি ইউনিটকে শনাক্ত করে ফেলে যারা একটি বাড়ির চারদিকে অবস্থান নিয়েছিল, সেখানেই তাদের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়।
জেনিনে ইসরায়েলের ড্রোন হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার সকালে এলাকায় ইসরায়েলি বুলডোজার এসে হাজির হয় আর আকাশে ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের আনাগোনা শুরু হয়, এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ড্রোন থেকে একটি ভবনে আঘাত হানা হয়। হামলার পর স্থানীয় লোকজন চারজনের দেহাবশেষ শনাক্ত করে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, জেনিনে তারা পৃথক দু’টি আকাশ হামলা চালিয়েছে আর আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনা ও পুলিশ সাত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং আরও বহু আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে বলে দাবি করেছে তারা।