প্রকাশ: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৯:০২ PM
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির নতুন যুগ শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, এবং সাইবার নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতির মাধ্যমে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়েই প্রযুক্তি খাত যেভাবে রূপান্তরিত হয়েছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটি ‘চতুর্থ প্রযুক্তি বিপ্লব’-এর দ্বিতীয় ধাক্কা।
এআই-এর প্রসার ও প্রভাব
চ্যাটবট, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও কৃষিক্ষেত্রেও এখন ব্যবহার হচ্ছে জেনারেটিভ এআই। বিশেষ করে ওপেনএআই-এর নতুন GPT-5.1 মডেল এবং গুগলের জেমিনি-প্রযুক্তি ইতোমধ্যে ব্যবসা ও শিক্ষার ক্ষেত্র বদলে দিয়েছে।
বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান। একাধিক স্টার্টআপ এআই-চালিত কাস্টমার সার্ভিস এবং অনলাইন শিক্ষাপ্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার ভাষায়, “বাংলাদেশ এখন বিশ্ব এআই ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।”
কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে মার্কিন-চীন প্রতিযোগিতা
একদিকে গুগল ও আইবিএম, অন্যদিকে চীনের হুয়াওয়ে ও আলিবাবা—সবাই নিজেদের কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে মাঠে নেমেছে। সম্প্রতি আইবিএম ঘোষণা দিয়েছে, তারা ১০০০ কিউবিটের কোয়ান্টাম প্রসেসর সফলভাবে টেস্ট করেছে, যা একাধারে ওষুধ আবিষ্কার, এনক্রিপশন ভাঙা এবং বিশাল পরিসরের ডেটা বিশ্লেষণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
সাইবার নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ বেড়েছে
যেখানে প্রযুক্তির অগ্রগতি, সেখানেই ঝুঁকিও। ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসেই বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলা বেড়েছে ৩৫%। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, AI দিয়ে হ্যাকিং সহজ হয়ে যাওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা আর শুধু ফায়ারওয়াল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি না। AI ও বিগ ডেটার সমন্বয়ে রিয়েল টাইম মনিটরিং চালু করতে হচ্ছে।”
ভবিষ্যতের দিগন্ত
বিশ্বব্যাপী সরকার ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন AI নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে “AI অ্যাক্ট” কার্যকর করেছে। বাংলাদেশ সরকারও ২০২৫ সালের মধ্যে একটি জাতীয় AI নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছে।
বিশ্ব প্রযুক্তি বিশ্লেষক রে কুরজওয়েল ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, “২০৩০ সালের মধ্যে মানুষের চেয়ে স্মার্ট AI তৈরি হবে। এখনই প্রস্তুতি না নিলে তা মানবজাতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।”