প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৫ PM
বিগত স্বৈরতন্ত্র সরকারের নির্যাতনের শিকার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুক্তার আলী লস্কর মালদ্বীপ বিএনপির নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের আমলে ওয়েজডি করা হয় তাকে। রেহাই পায নাই তার সহধর্মনী মিসেস জেবাউন নাহার। দুইজনেই ঢাকা পিজি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে পাড়ি জমায় দূর প্রবাস দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে। সেখানো থেমে ছিলেন না তিনি, মালদ্বীপে বসবাস করেও বিগত শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলনে কোন না কোন ভাবেই তার অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সেটা হোক দেশে আর প্রবাসে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুনি হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পর। দেশগঠনে নিজের অংশগ্রহণের প্রত্যয় নিয়ে দেশে যাবেন তিনি। চাকুরী জীবনের ১৬ বছর ওয়েজডি থাকার পর দেশে ফিরেছেন ড: মোক্তার আলী লস্কর। প্রবাসে থাকাকালীন তিনি বিএনপি কর্মীদের বিনা অর্থই প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন তিনি।
১২ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) মালদ্বীপ বিএনপি'র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের শিকদার এর আয়োজনে রাজধানী মালের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ডক্টর মুক্তার আলি লস্কর এর বাংলাদেশের শুভাগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মালদ্বীপ বিএনপি'র সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মোঃ কাশেদুল ইসলাম, সি: সহ-সভাপতি নেহের মিয়া রানা, সহ-সভাপতি শাহ আলম, মো: এমরান হোসেন তালুকদার, ফারুক হোসেন, প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ হায়দার আলী সাবু, যুগ্ম-সম্পাদক রবিউল আলম, সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান শাহজী, দপ্তর সম্পাদক মো: ওমর ফারুক অনিক, কোষাধক্ষ্য মো: আব্দুল্লাহ কাদের, যুবদল মালদ্বীপ শাখার প্রস্তাবিত সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, মো: মামুন, মালদ্বীপ-বাংলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে কোনো ফ্যাসিবাদ যেন মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে। সেজন্যে প্রতিটা সময় তারুণ্যের অহংকার বাংলাদেশের যুব সমাজের আইকন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক অতীতের ন্যায় দলীয় কর্মসূচি পালন করে যেতে হবে। দেশ সংস্করনের সহায়তা হিসেবে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরনে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সর্বশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রহের মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।