ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর সম্মানিত সহ-সভাপতি, নাট্যনির্মাতা সদ্য প্রয়াত মনির হোসেন জীবন স্মরণে আজ শুক্রবার বিকালে ৫ নিকেতনস্থ ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর সভাপতি অনন্ত হিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান সাগর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ, প্রয়াত মনির হোসেন জীবনের স্ত্রী মাহমুদা জীবন শিল্পী, বড় মেয়ে মায়মুনা জীবন একান্ত মেঝো মেয়ে মালিহা জীবন দিগন্ত, ছোট মেয়ে মারজানা জীবন পূর্ণতা, ভাগ্নে কামরুল ইসলাম খোকন ও সূমন, কনফেডারেশনের সভাপতি সাদেক সিদ্দিকী, কনফেডারেশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ টিভি মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আবু জাফর অপু, শুটিং ইউনিট মাইক্রোবাস চালক সমিতি সভাপতি ও কনফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, শুটিং লাইট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কনফেডারেশনের সাংগঠনিক সচিব মো: সালাম চৌধুরী, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া লাইটম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কনফেডারেশনের অর্থসচিব ইব্রাহিম শাহরিয়ার, শুটিং হাউজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কনফেডারেশনের উপদেষ্টা আবদুল আলিম সহ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম পারভিন, অভিনয়শিল্পী ডি এ তায়েব ছাড়াও নাট্যনির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও সাংংবাদিকবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে অনন্ত হিরা বলেন, আপনারা যারা আজকের আয়োজনে এসেছেন তাদের প্রতি ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ডি এ তায়েব ভাইয়ের সাথে একাত্ম হয়ে বলতে চাই, জীবন ভাই ও তার পরিবারের জন্য কি করা যায় এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী পরিষদ আলোচনা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিব।।
মনির হোসেন জীবনেে বড় মেয়ে মায়মুনা জীবন একান্ত বলেন আমার বাবার মৃত্যুর সময় আমি পাশে থাকতে পারিনি টাঙ্গাইল থাকার কারণে। বাবা থাকা অবস্থায় বলতে পারিনি তাকে কতটা ভালবাসি। বাবা যে নাই এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। মনির হোসেন জীবনের ভাগ্নে সূমন বলেন, আমাদের পরিবারে মামার ভূমিকা অপরিসীম মামার যে স্বাধীন থিয়েটার সেটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নাট্যপ্রযোজক শবনম পারভিন বলেন, জীবনের সঙ্গে আমার সঙ্গে অনেকদিনের। আমার প্রযোজনার প্রথম নাটক জীবনের পরিচালনায়। এরপরে তার সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। তার মূল্যায়ন হয়নি সেভাবে। ডি এ তায়েব বলেন, জীবন ভাই আমার গুরু। আমার প্রতি উনার ভালবাসা ছিল। আমাদের জীবন ভাইয়ের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, সে দায়িত্ব নিতে হবে। উনি কাজের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন। কনফেডারেশনের সভাপতি সাদেক সিদ্দিকী বলেন, মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে নিতে হবে কিন্তু কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। মনির হোসেন জীবন এমনই একজন মানুষ। সংগঠনের প্লতি অনুরোধ তার পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেবেন। কনফেডারেশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ টিভি মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আবু জাফর অপু বলেন, মনির ভাইয়ের কাজের অভিজ্ঞতা মধুর। তিনি কখনোই প্রডাকশনের কাউকে তুই বলেননি। তার মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত।
শুটিং লাইট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কনফেডারেশনের সাংগঠনিক সচিব মো: সালাম চৌধুরী বলেন, জীবন ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। তার মৃত্যৃ অপ্রত্যাশিত। নির্মাতা নজরুল কোরেশী বলেন, তার সঙ্গে ১৯৯৪ সালে হুমায়ুন আহমেদের নাটকে সেটে পরিচয়। তার সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় মধুর ছিল। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মনির হোসেন জীবন তার কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আওলাদ বলেন, জীবন ভাইয়ের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নাটক। এমনকি কখনও কখনও তা পরিবার ছাপিয়ে যেত। পরিবারের জন্য যা করার প্রয়োজন তা করব। নাট্যনির্মাতা শাওন আশরাফ বলেন, জীবন ভাইকে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার সব করব। এছাড়া স্মরণসভায় আগতরা মনির হোসেন জীবনের প্রতি শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার কর্মের প্রতি আলোকপাত করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।