ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দল গোছানোর প্রক্রিয়া নিয়ে বেশির ভাগ দল নীরব থাকলেও কোমর বেঁধে মাঠে নেমে গেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। লিগের সেরা দলটা বোধ হয় এবার তারাই বানাচ্ছে। নতুন-পুরোনো মিলে ১৪ ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে তারা।
রূপগঞ্জের মালিক লুৎফর রহমান বাদল বড় বাজেট নিয়ে মাঠে নামলেও ঐতিহ্যবাহী আবাহনী পড়েছে আর্থিক সংকটে। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়রা পাড়ি জমাচ্ছেন অন্য ক্লাবে। আবাহনীর ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত গেছেন রূপগঞ্জে। নাঈম শেখ, রাকিবুল হাসান সঙ্গী হয়েছেন তাঁর। পুরোনো কোনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারছে না আবাহনী। বাজেট স্বল্পতায় ক্লাব কর্মকর্তারা হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন।
বিসিবির নির্বাচনের বছর হওয়ায় কোনো কোনো ক্লাব ধীরে চলার নীতি নিলেও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব দল অনেকটাই গুছিয়ে ফেলেছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আকবার আলীর সঙ্গে চুক্তি করে ফেরেছে তারা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সাহাদাত হোসেন দিপু, খালিদ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, রায়ান রাফসান, মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেনের সঙ্গে কথা পাকা করে ফেরেছে দলটি।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরীর মতে, ‘আমরা স্বচ্ছতা বজায় রেখে দল করে থাকি। এত বছর বড় দল বানিয়েও সফল হতে পারিনি বিসিবির আগের রেজিমের কারণে। তারা কয়েকটি ক্লাবের মালিক হওয়ায় খেলোয়াড় আদান-প্রদান করত। আমরা তারকা ক্রিকেটার নিলে তাদের জাতীয় দল, এইচপি বা ‘এ’ দলে নিয়ে যেত। ফলে ভালো দল গড়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। আমরা যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারি, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হতো। আমরা এখন উদীয়মান ক্রিকেটারদের খেলাতে চাই। তারা খেলার পাশাপাশি লেখাপড়া শেষ করে যেন ব্যাংকে চাকরিও নিতে পারে।’
রূপগঞ্জের কোচ হান্নান সরকার জানান, ১৭ থেকে ১৮ ক্রিকেটার নিয়ে দল গড়ার পরিকল্পনা তাঁর। এ বছর তাঁর কোচিংয়ে লিগ শিরোপা জিতেছে আবাহনী। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৪ জনের মতো ক্রিকেটার নিয়েছি। পেস বোলার ও উইকেটকিপার নিতে হবে। ব্যাটিং অর্ডারের কারণে আকবরকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আশা করি, ভারসাম্য একটি দল হবে।’
নাঈম শেখ, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, জাকের আলী অনিক, রাকিবুল হাসান, মাহফুজ রাব্বি, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, আল ফাহাদ, আশিকুর রহমান শিবলি ও আলফাজ আহমেদ রূপগঞ্জে নাম তুলেছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যানেজার সুমন হাসান জানান, এখনও দল গোছানোর কাজে হাত দেননি তারা। বরং তাদের দল থেকে অনেককে ছেড়ে দিতে হচ্ছে বাজেট স্বল্পতায়।
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের কর্মকর্তা শানিয়ান জানান, নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে পুরোনোদের ধরে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। ঢাকার জায়ান্ট মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল বানাতে চাই। সিনিয়রদের দিয়ে তো কয়েক বছর দেখলাম। এবার ভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, ভালো একটি দল হবে।’ মিজানুর রহমানের স্পন্সরে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব তরুণদের নিয়ে খেলতে পারে এবারও।