প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:০৮ পিএম |
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ প্রতিটি মসজিদে ভিড় করছেন মুসল্লিরা। এশা ও তারাবির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন নফল ইবাদত করছেন। তাবারিতে কোরআন খতম হচ্ছে আজ। এতে মহিমান্বিত এই রাতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি আমেজ।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদরের পরদিন সরকারি ছুটি। এবার নির্বাহী আদেশে একদিন যুক্ত হওয়ায় ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শবে কদরের ছুটি। আগামীকাল বুধবার থেকে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে ছয় দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকুরেরা।