প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:১৬ PM
ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট স্টারলিংক ভারতে চালু হতে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই পরিষেবা শুরুর অনুমতি পেতে পারে স্টারলিংক। স্টারলিংক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ভূমিতে বিস্তৃত করে থাকে। ভারতে স্টারলিংকের পরিষেবা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও।
মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বাড়ির দুয়ারে পৌঁছাবে ইন্টারনেট। এই পরিষেবা ইতিমধ্যে বহু দেশে শুরু করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তার সংস্থা স্টারলিংক বিশ্বের একাধিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দিয়েছে। কিন্তু, ভারতে এখনও অনুমোদন পায়নি সংস্থাটি।
তবে এবার জানা যাচ্ছে, ভারতে লাইসেন্স পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন ইলন মাস্ক। যে কোনও বিদেশি সংস্থাকে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আর সেই দৌড়ে একাধিক কাজ সেরে ফেলেছে স্টারলিংক।
চলতি মাসে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই ভারতে মহাকাশ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার লাইসেন্স পেতে পারেন ইলন মাস্ক। যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে মুকেশ আম্বানির জন্য। কারণ তারাও সম্প্রতি জিও স্পেস ফাইবারের সূচনা করেছে। যেখানে মহাকাশ থেকে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবে ইন্টারনেট। ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (ডিওটি) ছাড়াও একাধিক মন্ত্রণালয় ও দফতরের কাছ থেকে অনুমতি পেতে হবে ইলন মাস্ককে। ২০২৩ সালে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন - স্যাটেলাইট সার্ভিসেস লাইসেন্স পায় স্টারলিংক। জিও, ওয়ানওয়েবের পর তৃতীয় সংস্থা হিসাবে অনুমোদন পায় তারা।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, স্টারলিংকের ইন্টারনেট স্পিড ভারতে ৫ এমবিপিএস থেকে ২২০ এমবিপিএস এর মধ্যে থাকতে পারে। গড়ে ১০০ এমবিপিএসের মধ্যেই থাকবে এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের গতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য টেলিকম নেটওয়ার্কের তুলনায় মহাকাশ ভিত্তিক ইন্টারনেটের সবথেকে বড় সুবিধা হল এটির পরিকাঠামো তৈরি করা খুবই সহজ। যে কারণে দ্রুত পরিষেবা শুরু করা যায়। তবে ভারতে এই পরিষেবা ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ একাধিক কর দিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা আরম্ভ করবে স্টারলিঙ্ক।