প্রকাশ: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম (ভিজিট : ২৪২)

ইন্টার মিয়ামির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকায় আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। এবার সুযোগ ছিল, তাই খেলেও ফেললেন পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপদেশটির বিপক্ষে মেসি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দেখালেন। মঙ্গলবার রাতে ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাও পুয়ের্তো রিকোকে গোলের মালা পরিয়ে জয় পেলো ৬-০ ব্যবধানে।
এই ম্যাচটি মূলত সোমবার শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে কম টিকিট বিক্রি এবং স্থানীয় প্রশাসনের অভিবাসন অভিযানকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি সরিয়ে ফোর্ট লডারডেলে নিয়ে আসা হয়।
এই ম্যাচটি ছিল ফিফা র্যাংকিংয়ের ৩ নম্বর দল আর্জেন্টিনার সঙ্গে ১৫৫ নম্বর পুয়ের্তো রিকোর এক অদ্ভুত লড়াই। পুয়ের্তো রিকো দলে বেশ কয়েকজন কলেজ খেলোয়াড়ও ছিলেন। ভিলোনোভার গোলরক্ষক সেবাস্তিয়ান কাটলার দ্বিতীয়ার্ধে মেসির একটি হেড ও ৭৪তম মিনিটে তার ১৫ গজের শট রুখে দেয়াসহ কয়েকটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দলকে আরও বড় ব্যবধানে হার থেকে কিছুটা রক্ষা করেন।
আট মিনিটের মাথায় পুয়ের্তো রিকো প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল, যখন মিডফিল্ডের ওপার থেকে নেওয়া লিয়ান্দ্রো আন্তোনেত্তির শটটি প্রায় আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের মাথার ওপর দিয়ে জালে ঢুকে যাচ্ছিল।
৬ গোলের কোনোটির পাশে নাম নেই মেসির। তবে, দুটি গোল এসেছে তার কাছ থেকেই। তিনি গোল বানিয়ে সতীর্থকে দিয়ে জড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের জালে। প্রথমার্ধে মেসির নিখুঁত লব পাস থেকে গঞ্জালো মন্তিয়েল গোল করেন। শেষদিকে ৮৩তম মিনিটে চমৎকার ব্যাক-পাসে লাউতারো মার্টিনেজকে দিয়ে তার দ্বিতীয় গোলটি করান মেসি। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারও করেন দুটি গোল, আরেকটি গোল আসে প্রতিপক্ষ পুয়ের্তো রিকোর আত্মঘাতী থেকে। নিজেদের জালেই বল জড়িয়েছেন স্টিভেন এচেভারিয়া।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-০ জয়ের ম্যাচে দলে না থাকলেও মঙ্গলবার পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে মাঠে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমি মেসিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খেলতে প্রস্তুত কিনা। সে হ্যাঁ বলেছিল। তার উপস্থিতি সবসময় আমাদের জন্য আনন্দের। সে গত সপ্তাহে আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছে, আমরা ঠিক করেছিলাম এই ম্যাচেই তাকে ব্যবহার করব। মেসি এবং রদ্রিগো ডি পল দুজনই নিজেদের ঘরের মাঠে খেলার মতো আরাম বোধ করেছে।’
এই ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ, যা আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে (১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত)। এই জয়ের মাধ্যমে স্কালোনির দল তাদের প্রস্তুতিতে আত্মবিশ্বাসী সূচনা পেল।