প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩০ পিএম (ভিজিট : ৬৯)

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি এনসিপি এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে সংস্কারের পক্ষে থাকবে এবং ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধি থেকে কাজ করবে তাদের সাথে আমরা জোটবদ্ধ হবো।
তিনি ১৩ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় উৎসব কমিউনিটি সেন্টার হল রুমে শেরপুরে জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, এনসিপি শুধু আসনের রাজনীতির জন্য কারও সাথে জোট করবে না। যদি কেউ পরিবর্তনের কমিটমেন্ট দিতে পারে এবং কাজে সেটি প্রমাণ করার মতো হয় তাহলে এনসিপি সময়ের প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্সের দিকে যেতে পারে। আবার যদি দেখি এসব শুধু কথার ফুলঝুড়ি, সেক্ষেত্রে এনসিপি একক নির্বাচনের দিকে যাবে। তবে ইলেক্টারাল অ্যালায়েন্স হলেও এনসিপি অন্য কোন প্রতীকে নয়, কেবল শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে।
শাপলা প্রতীক না পেলে নির্বাচন করবেন কী-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্বাচন-সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ যতজনের সাথেই কথা বলেছি, তাদের কেউই শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোন বাধা নেই। যেহেতু আইনগত কোন বাধা নেই আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে এই স্বেচ্ছাচারী আচরণ একটি রাজনৈতিক দলের সাথে করবে না। আমরা অবশ্যই শাপলা প্রতীক পাবো এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, নিম্নকক্ষে পিআর চাই না, যেটি ঐক্যমত্য কমিশনে বারবার বলেছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উচ্চকক্ষে পিআরের মাধ্যমে আমরা দেখি এটি কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য বা ফলপ্রসূ হচ্ছে এবং এটা দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হচ্ছে কিনা। পরবর্তীতে দেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়াই ঠিক করবে রাজনৈতিক দলগুলো নিম্নকক্ষে পিআর চাইবে কিনা।
সারজিস বলেন, উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের বিষয়টি গড়পরতা সব উপদেষ্টার জন্য না, কিছু কিছু। সেফ এক্সিট বলতে এমন না বলতে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। বরং এটা বুঝানো হয়েছে যে, কোনোভাবে নির্বাচনটা তারা দিয়ে যেতে পারলেই যেন দায় শেষ এমন কথা। আমরা তাদের মনে করিয়ে দিতে চায়, নির্বাচন দিলেই দায় শেষ হবে না। দায়টা এত ছোট না। হাজারও মানুষের জীবনের দায় আছে, লক্ষ মানুষের রক্তের দায় আছে। আমরা তাদের কাছে অভ্যুত্থানের সরকারের মতো বোল্ড একটা ভূমিকা চাই।
শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও জুলাইযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।