প্রকাশ: রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২৫ পিএম (ভিজিট : ৩০)
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ১২ রবিউল আউয়াল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশাল জশনে জুলুস। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হওয়া জুলুসের নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মাইনিয়া মাইজভান্ডারিয়া’র সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহ সুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো সুফি ভক্ত অংশ নেন।সকালে উদ্যানে জড়ো হওয়া জনস্রোত দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ শেষে আবার উদ্যানে ফিরে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। এ বছর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর ১৫০০তম বার্ষিকী হওয়ায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
জুলুসে কালিমা খচিত পতাকা, ফেস্টুন, বিশাল জাতীয় পতাকা ও “ইয়া নবী সালামু আলাইকা” শ্লোগানে মুখরিত হয় রাজধানী। জুলুসে নবী (সাঃ) প্রেমী হাজার হাজার নারী ভক্তের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখযোগ্য।
শান্তি মহা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএসপি চেয়ারম্যান শাহ সুফি ড. সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর রহমত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি মানবজাতির পথ-প্রদর্শক। তাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক মানবজাতির উপর নেয়ামত দান করেন। পৃথিবীতে প্রিয় নবীজীর আগমন না হলে এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড কিছুই সৃষ্টি করতেন না মহান আল্লাহপাক। কাজেই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব, কর্তব্য হচ্ছে প্রিয় নবীজির শানে মহব্বতের সঙ্গে দরুদ পাঠ করা।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আল্লামা প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ, মুফতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী, বিশিষ্ট কলামিস্ট ফারহাদ মজহার, প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।