প্রকাশ: রোববার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৯ পিএম (ভিজিট : ৩০)

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপে আয়োজিত হলো জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক মহোৎসব “ভিলুনথেরি ফেস্ট ২০২৫”।
জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চঝুঁকিতে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রটিকে একটি সহনশীল জাতিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে, রবিবার (১৯, অক্টোবর) মালদ্বীপের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) এই উৎসবের আয়োজন করে, যেখানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অংশীদার প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি মালদ্বীপ সরকারের দুর্যোগ সচেতনতা ও প্রস্তুতি জোরদারের উদ্যোগের উচ্চ প্রশংসা করেন এবং বলেন— বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্প্রদায়ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞতা মালদ্বীপসহ সমগ্র অঞ্চলে ভাগাভাগি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ ছিল ‘হুশিয়ারু’ নামক জাতীয় দুর্যোগ সচেতনতা ওয়েবসাইটের উদ্বোধন। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলা ভাষা সংযোজন করা হয়েছে— যা মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি এক ব্যতিক্রমী স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হাইকমিশনার এ উদ্যোগকে দ্বিপাক্ষিক সৌহার্দ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন।
“হুশিয়ারু” উদ্যোগটি NDMA ও মালদ্বীপিয়ান রেড ক্রিসেন্ট (MRC) এর যৌথ বাস্তবায়নে পরিচালিত হচ্ছে, যার সহযোগী সংস্থা হিসেবে রয়েছে ইউএনডিপি মালদ্বীপ এবং ইউনিসেফ মালদ্বীপ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের সক্ষমতা উন্নয়ন। এটি মালদ্বীপ সরকারের “একটি দুর্যোগ-সহনশীল মালদ্বীপ” গঠনের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম NDMA, ইউএনডিপি মালদ্বীপ ও ইউনিসেফ মালদ্বীপের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রদায়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই জনমুখী উৎসবে মালদ্বীপ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ২০টিরও বেশি অংশীদার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। সব বয়সী নাগরিক এতে অংশ নিয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে জ্ঞানার্জন ও বাস্তব অনুশীলনের সুযোগ পান— যা একটি সচেতন ও সহনশীল সমাজ গঠনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।