প্রকাশ: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম (ভিজিট : ৪১)

মালদ্বীপে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর নিকট তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানী মালের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় হাইকমিশনার নাজমুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্বপত্র উপস্থাপন করেন। এর আগে মালদ্বীপ জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর (MNDF) ড্রাম ও ট্রাম্পেট ব্যান্ডের নেতৃত্বে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার মাধ্যমে রিপাবলিক স্কয়ার থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে হাইকমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিচয়পত্র পেশের পর রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু এবং হাইকমিশনার নাজমুল ইসলাম উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহ্যবাহী ও সুদৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা, আস্থা ও সহযোগিতার ঐতিহাসিক বন্ধনের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তা আরও গভীর ও কার্যকর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে কৃষি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থসম্পন্ন বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই পারস্পরিক সুবিধা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর, যা দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের ভিত্তিপ্রস্তর রচনা করে।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং সংসদীয় কূটনীতিক।মালদ্বীপে যোগদানের পূর্বে তিনি তুর্কি পার্লামেন্টের (টিবিএমএম) উপদেষ্টা এবং সংসদীয় কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটে (এফএসআই) কূটনীতিকদের প্রশিক্ষক হিসেবে এবং আঙ্কারা ইলদিরিম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব ও কৌশলগত গবেষণায় তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য রয়েছে এবং তিনি "পশ্চিমা বিশ্বের বাহিরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব ও সফট পাওয়ার কৌশল"-নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন। তাঁর এই বহুমুখী অভিজ্ঞতা মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।