প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২০ পিএম (ভিজিট : ১৬৯)
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্দা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর উপর স্থায়ী সেতু হয়নি। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা অন্তত ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। ভরসা কেবল একটি বাঁশের সাকো, যা প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে স্থানীয়দের।
মালিঝি নদীর দুই তীরে জিগাতলা, চকপাড়া, হাতিবান্দা নিজপাড়া, ঘাগড়া সরকারপাড়া, প্রধানপাড়া, মোল্লাপাড়া, মোনাঘোষা, মধ্য হাতিবান্দা ও পাগলারমুখ গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন বাঁশের সাকো পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি কার্যক্রমে পড়ছে বড় ধরণের বাধা। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি জরুরি মুহূর্তে রোগী বা গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার সময় ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, একদিকে নেই গাড়ী যাতায়াতের সেতু অপরদিকে নেই রাস্তাঘটা। যে কারণে এই এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চাইনা। তাই এই নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী, কৃষক, নারী-পুরুষ সবার জীবনযাত্রায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সেতুটি হবে মাইলফলক।
হাতীবান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমি বারবার দাবি জানিয়েছি, এখানে একটা স্থায়ী সেতু খুবই দরকার। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা হওয়া উচিত।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব। এখানে যাতে স্থায়ী সমাধান হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পরিশেষে একটি সেতু শুধু যোগাযোগের পথ নয়, বদলে দিতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির চিত্র। ঝিনাইগাতীর মালিঝি নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতুই বদলে দিতে পুরো এলাকার ভাগ্যচিত্র।