প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৫ AM
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স লায়লা আক্তার মিঠুর দাপটে অসহায় হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স হয়ে সহকর্মী ও কর্মচারীদের বকাবাজি, লাঞ্ছিত করা সহ অশোভন আচরণ নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লায়লা আক্তার মিঠু কটিয়াদী হাসপাতালে হাসপাতালে নার্স হিসেবে যোগ দেন ২০১২ সালে। এর পর যে দল ক্ষমতায় এসেছে সে দলের স্থানীয় নেতাদের লেজুড়বৃত্তি করে অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন।অনিয়ম–স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক, নার্স বা কর্মচারী প্রতিবাদ করলে ভয় ভীতি ও মানুষিক নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করানো হয়। তিনি রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি পালনের বদলে নিজের ইচ্ছেমতো নাম মাত্র ডিউটি করেন।রাতে ডিউটি থাকলে ডিউটির শুরুতে ফিঙ্গার দিয়ে বাসায় চলে যান আবার ডিউটি শেষের সময় এসে ফিঙ্গার দেন। লায়লা আক্তার মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক নার্স সাংবাদিকদের জানান, ‘হাসপাতালের ভেতর এমন কোনো অনিয়ম–দুর্নীতি নেই যা মিঠু করেন না। দু একদিন পরপর বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নার্সদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেন।কখনও অফিসে খাওয়ানোর কথা বলে। প্রণোদনা টাকা নেয়ার সময় সকলের নিকট থেকে জোরপূর্বক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। সাধারন ডেলিভারির রোগীর ডেলিভারি হলে বকসিসের নামে মোটা অংকের টাকা ভাগিয়ে নেন মিড ওয়াইফারী ইনচার্জ মিঠু।কটিয়াদী হাসপাতালে সাধারন কোন গরীব সিজার অযোগ্য ডেলিভারী বা সিজার করতে হবে এমন রোগী গেলে কমিশন বানিজ্যের জন্য সিজারের ডেলিভারীর রোগী হিসাবে বাহিরে প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয় মিড ওয়াইফারী(ডেলিভারি) ইনচার্জ লায়লা আক্তার মিঠু। বর্তমানে কটিয়াদী হাসপাতালের জনৈক একজনই ডাঃ বাহিরের সব ক্লিনিকের ডেলিভারি রোগীর সিজার করে থাকেন।
এ ছাড়াও লায়লা আক্তার মিঠু মিড ওয়াইফারী(ডেলিভারি) ইনচার্জ নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে যে, তার নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয়ের জন্য কটিয়াদী চাকুরি জীবনে দুইবার বাসা বরাদ্ধ বাতিল করা হয়।প্রথম বার ২০১৪ ইং সালে ডাঃ তপন দত্ত টিএইচ এ থাকা কালিন সময়ে এবং ২য় বার অথ্যাৎ বর্তমানে সিভিল সাজন কিশোরগঞ্জ মহুদয়ের আদেশে ১০।০৫।২০২৫ ইং তারিখে বাসা বরাদ্ধ বাতিল করা হয় ।কিন্তু অদ্যবধি বাসা দখল করে দম্ভের সাথে বসবাস করছে ।কেউ যদি বাসা ছাড়ার কথা বলে তবে তাকে নানা ভাবে অশোভন আচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন মিঠু।
এদিকে মোবাইলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্স লায়লা আক্তার মিঠু মোবাইল রিসিভ করে কেটে দেন। হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগী ও স্বজনদের পড়তে হচ্ছে দীর্ঘ অপেক্ষা ও চরম ভোগান্তিতে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছু নার্সের অমনোযোগী আচরণ ও সহযোগিতার অভাব, যা রোগী ও স্বজনদের হতাশা আরও বাড়িয়ে তুলছে। রোগী ও স্বজনরা আরও অভিযোগ করেন, রোগীর অবস্থার অবনতি হলে নার্সদের জানানো হলেও অনেকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দেন না বা আগ্রহ দেখান না। এমন আচরণে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্বজনদের। হাসপাতালের নার্সদের আচরণে মানবিকতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।রোগী ও স্বজনদের প্রত্যাশা, খুব শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা না দিয়ে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এ বিষয়ে হসপিটালের পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আসলে আমি অবগত না।আমি লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।