সোনারগাঁয়ে বিএনপির এক কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে মারধর, ছিনতাই, হত্যার হুমকি এবং পরে মাদকের অপবাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী আল আমিন (২৭)-এর বিরুদ্ধে এই চক্রান্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু কর্মী জড়িত বলে দাবি করেছেন তার মা শাহিদা আক্তার।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা গেটসংলগ্ন আমিন সুপার মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
শাহিদা আক্তার বলেন, আমার ছেলে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের একজন কর্মী। সম্প্রতি এলাকায় একটি বিএনপি ক্লাব গঠনের পর থেকেই আওয়ামী লীগপন্থী কিছু লোক তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৭ জুলাই রাতে তারা কৌশলে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং পকেটের ১২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তার হাতে মাদক ধরিয়ে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়, যাতে সমাজে সে হেয়প্রতিপন্ন হয়।
তিনি জানান, ঘটনার দিন রাতে আল আমিন সাদীপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মো. নাঈম ও মো. কাউছার তাকে কৌশলে ডেকে গণকবাড়ী এলাকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
লিখিত অভিযোগে যাদের নাম এসেছে তারা হল, মো. মাসুম (২৫), মো. নাঈম (২২), মো. কাউছার (২১), মো. রবিন (২২), মো. জিহাদ (২০), মো. মুছা মিয়া (১৯), ইসমাইল (২১),
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন।
সবাই সাদীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
শাহিদা আক্তার আরও বলেন, আমার ছেলের চিৎকারে পাশে থাকা মো. তারিক মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে আমার ছেলে আহত অবস্থায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি-এখন সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মাদকের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
ঘটনার পর গত ৩১ জুলাই সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহিদা আক্তার।
তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।