
আলোচনা চলছিল তুলনামূলক শক্তিশালী ও পরবর্তী অবস্থানের দলগুলোকে নিয়ে দুই স্তরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের। যা স্বভাবতই শীর্ষ দলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতো বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর। তবে তেমনটা হচ্ছে না। উল্টো ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২টি দল নিয়ে সাদা পোশাকের এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের নতুন সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ানডে সুপার লিগ নিয়েও পরিকল্পনা করছে আইসিসি।
গত সপ্তাহে আইসিসির বোর্ড এবং প্রধান নির্বাহী কমিটির সভায় দুটি প্রতিযোগিতায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে নানা অগ্রগতি নিয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার রজার টোজ। তাদের সভায় লাল বলের ক্রিকেটে মান ধরে রাখতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে দুটি ডিভিশনে ভাগ করার প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। কারণ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে দিয়ে। যা টেবিশ্ব স্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৭-২৯ চক্রের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এর আগে ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে টেস্ট বিশ্বকাপের একটি ডিভিশন এবং বাকি দেশগুলিকে নিয়ে আর একটি ডিভিশন তৈরির প্রস্তাব ছিল। দু’টি ডিভিশনের মধ্যে ‘প্রোমোশন’ এবং ‘রেলিগেশন’ রাখার কথাও হয়। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান রিচার্ড থম্পসন বলেছিলেন, ‘আমরা এই ধরনের ব্যবস্থা চাই না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক। আমরা যদি দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাই, তাহলে অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের সঙ্গে খেলার সুযোগ থাকবে না। প্রথম ডিভিশনের যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। এভাবে হতে পারে না।’
দুই স্তরের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিবর্তে ওয়ার্কিং গ্রুপ ১২ দল নিয়ে টুর্নামেন্টের বিস্তৃতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে ২০২৭ সালের জুলাই থেকে নতুন চক্রে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ড যুক্ত হবে। বর্তমানে খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না এসব দল। তাদের বিপক্ষে টেস্ট আয়োজনে স্বাগতিকদের সেভাবে আর্থিক ফান্ডের অনুমোদন নেই। ফলে আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্টের উঠতি দলকে সংগ্রাম করতে হয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে যুক্ত হলে তারাও প্রায় সমান ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আবারও ফরম্যাটটিতে সুপার লিগ চালুর ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে সুপার লিগ হয়েছিল। ২০২০ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওই লিগে লড়েছিল ১৩টি দল। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর এই লিগের প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতেই নতুন লিগটি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুপার লিগ চালু হতে পারে ২০২৮ সাল থেকে (২০২৭ আসরের পর)। তবে কতগুলো দেশ নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।