প্রকাশ: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৫৭ পিএম (ভিজিট : ৭১)

শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত বেসরকারি শেরপুর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিজার অপারেশনের সময় এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রসূতির নাম আয়াশা আক্তার (২৫)। তিনি সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে নবজাতক কন্যাশিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খবর পেয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনব্যাপী আলোচনার পর রাতে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আরিফ হোসেনের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মধ্যে ৭ লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটি বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন আক্তার বলেন, “নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা অভিযোগ করবেন না জানিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত আবেদন দেয়নি।”
শেরপুর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ক্রিসেন্ট বলেন, “চেম্বার অব কমার্সে বসে বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে হাসপাতালটি এখনো কেন বন্ধ রয়েছে, সে বিষয়ে আমি অবগত নই।”
এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক লিমন বলেন, “এখনো পুরোপুরি সমাধান হয়নি। তাই আপাতত হাসপাতালটি বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই হাসপাতালের আরেক পরিচালক ডেন্টিস্ট ডা. রতন আপসমীমাংসার অর্থ প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে; তবে তিনি এ প্রতিবেদকের ফোনে সাড়া দেননি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবা, দক্ষতা ও প্রশাসনিক তদারকি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। তারা বলেন, “এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবহেলার শিকার না হয়।”