রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সেনারা সরে না গেলে রাশিয়া সামরিক শক্তি ব্যবহার করে পুরো দোনবাস অঞ্চল দখল করবে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তবে ইউক্রেন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা এই দাবি মানছে না।
পুতিন বলেন, আমরা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ করে এ অঞ্চলগুলো মুক্ত করবো, নয়তো ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সেগুলো ছেড়ে যাবে।
ইউক্রেন বলছে, তারা রাশিয়াকে নিজের ভূখণ্ড উপহার দিতে প্রস্তুত নয়। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর দায় রাশিয়ার, তাই তাদের পুরস্কৃত করা যাবে না।
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ১৯.২ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে—এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া, পুরো লুহানস্ক, ৮০ শতাংশের বেশি দোনেৎস্ক, প্রায় ৭৫ শতাংশ খেরসন ও জাপরিজঝিয়া এবং খারকিভ, সুমি, মাইকোলাইভ ও দ্নিপ্রোপেত্রভস্কের কিছু অংশ।
এখনো প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার দোনেৎস্ক অঞ্চল ইউক্রেনের হাতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া বারবার বলেছে—তারা পুরো ডোনবাসের নিয়ন্ত্রণ চায় এবং যুক্তরাষ্ট্রকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সেই নিয়ন্ত্রণ স্বীকার করতে হবে।
২০২২ সালে রাশিয়া লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপরিজঝিয়াকে নিজেদের অংশ ঘোষণা করে বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে। পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেন এসব ভোটকে ভুয়া বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। অধিকাংশ দেশ এখনো এই অঞ্চলগুলোসহ ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মঙ্গলবার পুতিন ক্রেমলিনে মার্কিন প্রতিনিধিদল স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রস্তাব রাশিয়া গ্রহণ করেছে এবং আলোচনা চলতে থাকা উচিত।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, পুতিন বলেছেন উইটকফ ও কুশনারের সঙ্গে তার বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ ছিল এবং আলোচনার ভিত্তি ছিল আলাস্কায় তার ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আগস্ট মাসে হওয়া কথোপকথন।