প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম (ভিজিট : ১১)
চতুর্থ মাসের মতো টানা পতনের ধারায় রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য এ চিত্র তুলে ধরেছে।
অন্যদিকে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের তুলনায় কিছুটা বেশি। এতে দেখা যাচ্ছে, নভেম্বরের দুর্বল পারফরম্যান্স সত্ত্বেও সামগ্রিক পাঁচ মাসে রপ্তানি খাতে সামান্য প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। এ সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
পোশাক খাতই রপ্তানি আয়ের প্রধান ভরসা হিসেবে রয়ে গেছে। ২০২৫ সালের নভেম্বরে এ খাত থেকে এসেছে ৩ হাজার ১৪০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিটওয়্যার ও ওভেন উভয় পণ্যই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ওষুধশিল্প, জাহাজ, চিংড়ি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। এসব বৈচিত্র্যময় খাত মিলেই দেশের রপ্তানি পোর্টফোলিওকে আরও মজবুত করেছে।
প্রধান রপ্তানি গন্তব্যগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। উদীয়মান ও কৌশলগত বাজারগুলোর রপ্তানিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—চীন (২৩.৮৩%), পোল্যান্ড (১১.৫৭%), সৌদি আরব (১১.৩৪%) এবং স্পেন (১০.৪৬%)—যা বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের বিস্তৃত উপস্থিতি তুলে ধরে।