১৫টি হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘গোঁয়ার’। রকিবুল আলম পরিচালিত ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাসেল মিয়া, তার বিপরীতে আছেন জলি। ছবিতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর। এই চলচ্চিত্র ও নিজের অভিনয়জীবন নিয়ে কথা বললেন রাসেল মিয়া
আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গোঁয়ার’ সিনেমা কেমন চলছে?
দেখেন, এটার আসল তথ্য কিন্তু আপনি চাইলে হল মালিক বা ম্যানেজারের কাছ থেকে জানতে পারবেন।
আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন কেমন চলছে। তার পরেও আমাকে যদি বলতে বলেন, তাহলে আমি বলছি খুবই ভালো ব্যবসা করছি ‘গোঁয়ার’-এ। ঈদে এর চেয়ে ভালো ব্যবসা কোনো ছবি করতে পারেনি। ঈদের পরে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি।
এই চলচ্চিত্রের এত ভালো ব্যবসা করার কারণ কী?
যারা দেখছেন তারা বলছেন অনেক দিন পর মান্নার সিনেমার মতো একটি সিনেমা দেখতে পেলাম। আসলে এই সিনেমাটা না নায়ক মান্নার সিনেমাগুলো যেমন হয়, ঠিক তেমনই। ওই রকম গল্প, ওই রকম ফ্লেভার। ফলে অনেক দর্শক বারবার ছবিটি দেখতেছেন।
এই সিনেমার মূল শক্তি হলো গল্প। খুবই ভালো একটি গল্প।
তাহলে কি আপনি বলছেন মান্নার মতোই আপনি অভিনয় করেছেন?
ছিঃ ছিঃ, এটা কী বলেন? আমি মান্না ভাইয়ের জুতার সমান যোগ্যতাও অর্জন করতে পারব না। কিন্ত এটা সত্য মান্না ভাইয়ের মৃত্যুর আজ ১৭ বছর, এত দিন পর মানুষ ওই রকম একটি ছবি দেখতে পাচ্ছে। যারা এই সিনেমা দেখতে আসছে তারাই বলছে, আমার মুখ দিয়ে এসব বলা ঠিক নয়।
পলি আপু মান্না ভাইয়ের নায়িকা ছিলেন। তিনিও ট্রেলার দেখে বলেছেন এই সিনেমাটা মান্না ভাইয়ের সিনেমার মতো হয়েছে।
ছবির গল্পটা কিসের ওপর আবর্তিত হয়েছে?
ছবিতে আমি একজন সাইকোপ্যাথ। এটি গণমানুষের ছবি। গুলশানের নিঃসঙ্গ মানুষ থেকে শুরু করে গুলিস্তানের সাধারণ পথচারী, পোশাককর্মী, রিকশাচালকসহ সবার গল্পই কোনো না কোনোভাবে এই ছবিতে স্থান পেয়েছে। ছবিতে ধর্ষণের শিকার এক নিরীহ নারীর ন্যায়বিচার পাওয়ার সংগ্রামও উঠে এসেছে। সব কিছুই ঠিক আছে কিন্তু ছবির নামের বানানতা আমরা ভুল করে ফেলেছি।
মিশা সওদাগরকে নিয়ে আপনার একটা অভিযোগের ভিডিও দেখলাম...
হ্যাঁ। অভিযোগ সত্য। দেখেন, এই ছবির প্রচারে আমি রাস্তায় নেমে এসেছি। সাধারণ মানুষ, ছিন্নমূল মানুষ প্রতিবন্ধীদের আমি খাইয়ে সিনেমার প্রচার করেছি। রাস্তায় রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে করে নিজে মাইকিং করে প্রচার করেছি। প্রচার করতে গিয়ে বাসায় না ফিরে বায়তুল মোকাররমের সামনে সারা রাত দাঁড়িয়ে থেকেছি। অন্যদিকে, ফেসবুকে সারা দিন মিশা ভাই এর-ওর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দেন, অথচ এই সিনেমা নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারেন না। তিনি এই সিনেমার সবচেয়ে বড় আর্টিস্ট, আপনি যদি সিনেমার প্রচার করতে না পারেন তাহলে অভিনয় করেছেন কেন? পারিশ্রমিক নিয়েছেন কেন? উনি ভেতরে এক, বাইরে আরেক।
সিনেমার প্রচারে আপনি যে রাস্তায় বসে ছিন্নমূল মানুষদের খাওয়ালেন, এতে প্রচার পেলেন কেমন?
আমার ভালো লাগে। সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে যেতে ভালো লাগে। কতটা লাভ হলো, লোকসান হলো সেটা ব্যাপার না, বিষয় হলো সুখ। আমাকে কদিন আগে একজন বেশ কয়েকটা শার্ট উপহার দিয়েছেন। যেসবের একেকটার দাম ৫-৭ হাজার টাকা। কিন্তু সেই শার্ট আমার পরতে ভালো লাগে না। আমার তিন-চার শ টাকার শার্ট পরতেই ভালো লাগে।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের প্রযোজনার দ্বিতীয় ছবিতেও আপনি, এই চ্যালেঞ্জ উনি নেন কেন?
উনি আমাকে তার দুটি চলচ্চিত্রেই আমাকে নিয়েছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর উনি আমাকে তার সিনেমায় নিয়েছেন, বলা যায় চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে উনি দেখলেন আমি ফেল করিনি আমি সফল। আমার ছবি ভালো চলছে।
দেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেন শাকিব খান, যেহেতু বলছেন আপনার ছবি সফল, তাহলে সামনে আপনি পারিশ্রমিক কত হাঁকবেন?
শাকিব ভাই তো দুই ঈদে সিনেমা মুক্তি দেন। তার পারিশ্রমিক প্রযোজক যেটা মনে করেন সেটা দেন। তিনি যদি যোগ্য হন তাহলে নেবেন না কেন? ঈদে ছবি মুক্তি দিতে হলে ঈদের আগে সিনেমার সফলতা থাকতে হবে। আমি যদি বারবার ঈদের বাইরে সিনেমার সফলতা দিতে পারি তাহলে ঈদে আমার ছবি মুক্তি দেব। আর পারিশ্রমিক? আমাকে ভাই গাড়ি ভাড়া আর খাবার দিলেই হবে। ভালো গল্প হলে আমি সিনেমায় অভিনয় করব।