প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৪২ PM
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তারের উপবৃত্তির টাকা দীর্ঘদিন ধরে অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সহিজ উদ্দিন, যিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও প্রায় ৪ বছরের উপবৃত্তির টাকা পাননি। এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সচিব মো. খোরশেদ আলম, যিনি বর্তমানে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়ন পরিষদে সচিব পদে কর্মরত।
অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির আইডি নম্বর ৯১ এবং প্রকৃত মোবাইল নম্বর ছিল ০১৯০৪৯৩৪১২৬। কিন্তু সচিব মো. খোরশেদ আলম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজশে তার ব্যক্তিগত নম্বর ০১৯১২-৮০১৮৭৭ ব্যবহার করে নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা তুলে নেন। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক একাধিকবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় অভিভাবক মো. সহিজ উদ্দিন বলেন, “আমি গরীব মানুষ, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। আমার মেয়ের পড়াশোনার খরচের জন্য উপবৃত্তির টাকা খুব দরকার ছিল। অথচ সেই টাকা অন্যরা আত্মসাৎ করছে। আমি আমার মেয়ের প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি করছি।”
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সচিব মো. খোরশেদ আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।