প্রকাশ: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৫ PM
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধায় বিমুগ্ধ মুশফিকুর রহিম। এমন সুযোগ-সুবিধা জাতীয় দলেও নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ইয়ুথ ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের ট্রায়াল ও বাছাইয়ের ক্যাম্পে এসে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের প্রশংসা করেছেন তিনি।
গতকাল থেকে ট্রায়াল ও বাছাই শুরু হয়েছে।
সেই ক্যাম্পে আজ এসে মুশফিক বলেছেন, ‘এটা (বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্ক) দেখে আমাদের সবারই লজ্জা লাগা উচিত। কারণ এ রকম একটা গ্রুপ বাংলাদেশে... যেটা সানোয়ার ভাই, জাভেদ ভাই বললেন... ক্রিকেট তো দূরের কথা, (বাংলাদেশের) কোনো জাতীয় দলেরই এ রকম সুবিধা নেই। যেটা কিনা খুবই মৌলিক সুবিধা হওয়া উচিত। কারণ আপনি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ক্রিকেটার বের করে আনা কঠিন।’
বসুন্ধরার সুযোগ-সুবিধা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার জানিয়ে মুশফিক বলেছন, ‘এই সুযোগ-সুবিধা দেখে আমাদের নীতি-নির্ধারকরা যদি উজ্জীবিত না হয়, তাহলে আফসোস ছাড়া আর কিছু বলার নেই। তবে এটা অবশ্যই প্রেরণাদায়ী একটা জিনিস। একটু দেরি হলেও উনাদের (বসুন্ধরা) মতো এত বড় একটা গ্রুপ এই কাজটা করেছে। আশা করি, এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার উপকৃত হবে, অনেক মানুষ উপকৃত হবে এবং এটা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।’
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ক্রিকেট মাঠটি যদি আগামীতে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায় তাহলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও অনুশীলনের সুবিধা পাবে বলে জানান মুশফিক। সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘প্রতিটি ধাপে তারা (বসুন্ধরা) নিজেদের উন্নতি করছে। শেখ জামালে এক বছর খেলেছি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। তো ইশতিয়াক (সাদেক) ভাইকে খুব কাছ থেকে চিনি। অন্যান্য যারা আছে, তাদেরও চিনি।
যেভাবে দিনে দিনে সুবিধাদি বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু হবে। আন্তর্জাতিক ভেন্যু হলে আমাদের ক্রিকেটাররা এখানে এসে সর্বোচ্চ সুবিধায় অনুশীলন করতে পারবে।’
ক্রিকেট নেটওয়ার্কে ৫টি সেন্টার উইকেট রয়েছে। সঙ্গে ১২টি টার্ফের পিচ রয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ইনডোরে আছে অ্যাস্ট্রো টার্ফ, বোলিং মেশিনের ব্যবস্থা। সঙ্গে জিম, সুইমিং পুলের ব্যবস্থা রয়েছে।