প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৭:৪০ PM
সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের বয়স ১৬ ও ১৭ বছর করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্যের সরকার। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যুক্তরাজ্য বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন ভোটারের বয়স নির্ধারণকারী দেশ হয়ে উঠবে।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগেই এই পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দেশজুড়ে ভোটারের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করতে এটি একটি বড় সংস্কার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের মতে, নতুন-ভোটার তরুণরা সাধারণত মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টির সমর্থক হওয়ায় এটি রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের একটি কৌশল হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেন, ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরা যখন কাজ করতে পারে, কর দিতে পারে—তখন তাদেরও উচিত রাষ্ট্র পরিচালনায় মত দেওয়ার অধিকার পাওয়া। তারা যদি রাষ্ট্রে অবদান রাখে, তবে কীভাবে অর্থ ব্যবহৃত হবে, তা বলার অধিকারও তাদের থাকা উচিত।
এই পরিবর্তন কার্যকর করতে পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করতে হবে, যেখানে লেবার পার্টির সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
বর্তমানে খুব অল্প কিছু দেশেই ১৬ বছর বয়সীরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইকুয়েডর ও কিউবা।
যুক্তরাজ্যের লেবার নেতারা বলছেন, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো গণতন্ত্রকে আধুনিকীকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের আঞ্চলিক নির্বাচনেও ১৬ বছর বয়সীরা আগেই ভোটাধিকার পেয়ে আসছে।