প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৪ AM
গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় কমপক্ষে আরও ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে যে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েই যাচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষের দিকে যখন জিএইচএফ কাজ শুরু করে তখন থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রায় ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক উঠেছে। সেখানে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের পশুর মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশও জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়া। বিধ্বস্ত ওই শহরের বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে পালিয়ে যাচ্ছে।
লোকজন তাদের গাড়ি এবং গাধাকে ব্যবহার করে এলাকা খালি করছে। সবাই অজানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; তারা জানে না কোথায় যাবে। যাতায়াতের জন্য জ্বালানি না থাকায় তাদের এক স্থান থেকে অন্যান্য যেতেও সমস্যাও হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল। এখানে বসবাসকারী সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ হাজার ৫৭৩ জন নিহত এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জন আহত হয়েছেন। গাজাকে এক মৃত্যুপুরী এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী।