২০২৫ সালের গ্রীষ্ম যেন ভাঙছে সব রেকর্ড। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তাপদাহের এই ভয়াবহতা শুধু অস্বস্তিই নয়, বাড়িয়ে তুলেছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। চিকিৎসকদের ভাষায়, হিটস্ট্রোকের ঘটনা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। তাই এখন সময়, আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতিকে নতুনভাবে সাজানোর।
কেন এত বেশি গরম?
পরিবেশবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে মৌসুমি বৈচিত্র্য হারাচ্ছে ভারসাম্য। গ্রীষ্মকাল হয়ে উঠছে দীর্ঘতর ও প্রচণ্ড উষ্ণ। শহরের কংক্রিটজঙ্গল, গাছপালার অভাব, অতিরিক্ত যানবাহনের ধোঁয়া—সবই বাড়াচ্ছে এই "হিট আইল্যান্ড" ইফেক্ট।
লাইফস্টাইল পরিবর্তনের জরুরি দিকগুলো
⚫ ১. হাইড্রেটেড থাকা অপরিহার্য
প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। সঙ্গে যোগ করুন লেবুর শরবত, ডাবের পানি বা ওআরএস।
⚫ ২. স্মার্ট ফ্যাশন পছন্দ করুন
হালকা রঙের, ঢিলেঢালা এবং সুতি কাপড় বেছে নিন। সানগ্লাস, ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহারে কুণ্ঠিত হবেন না।
⚫ ৩. গরমে খাওয়ার রুটিনে পরিবর্তন আনুন
তেল-মসলা কমিয়ে ফলমূল, শাকসবজি ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার খান। বাইরে হালকা খাবার বেছে নিন।
⚫ ৪. শরীরচর্চা হোক ভোরে বা সন্ধ্যায়
চড়া রোদে দৌড়ানো বা হাঁটার বদলে সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটা বা ইনডোর এক্সারসাইজ করুন।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
লক্ষণ: মাথাব্যথা, শরীর গরম হয়ে যাওয়া, ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব।
প্রাথমিক করণীয়: দ্রুত ছায়ায় বা ঠান্ডা স্থানে নিয়ে গায়ে পানি ছিটিয়ে দিন, ওআরএস দিন, প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিন।
বাচ্চা ও প্রবীণদের জন্য বিশেষ পরামর্শ
এই দুই বয়সের মানুষদের জন্য তাপদাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। তাই তারা যেন দিনের ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে না যায়। ঘরেও যেন যথেষ্ট বায়ু চলাচল ও পানি পানের ব্যবস্থা থাকে।
শেষ কথা
এখন সময় নিজেদের রুটিনকে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা। সচেতনতা, প্রস্তুতি আর সামান্য লাইফস্টাইল পরিবর্তন আমাদের এই তীব্র গরমে নিরাপদ রাখবে।