শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


ভোট রাজনীতির কোন পথে: কী চায় জনতা!
মীর আব্দুল আলীম
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৮:২৩ PM

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর গুঞ্জন এবং এর পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে ওঠা জনগণ-সব মিলে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, এই সরকার আসলে কার জন্য, কার ইচ্ছায় এবং কতদিনের জন্য?
সম্প্রতি বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়ায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছে। এই অস্বচ্ছতা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, বরং সার্বিকভাবে রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে-আসলে জনগণ কী চায়?

বর্তমান সরকারপ্রধান ইউনূস সরকারের পক্ষে ‘হাঁ-না ভোট’ বা গণভোটের একটি ধারণা এসেছে। জনতার পক্ষ থেকে যা চাউড় হচ্ছে সবখানে। কেউ কেউ বলছেন, এটি জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি উদ্যোগ, আবার কেউ বলছেন, এটি নির্বাচনের বিকল্প হতে পারে না। পক্ষ-বিপক্ষের এই বিতর্কে প্রশ্ন থেকে যায়-জনগণের সত্যিকার ইচ্ছা কী? তারা কি একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন চায়, নাকি তারা কিছুটা ভিন্নধর্মী গণপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে মত প্রকাশে আগ্রহী?

কেউ বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হউক আবার কেউ বলছেন- ২০২৯ সালেই পরবর্তী নির্বাচন হোক। আবার কেউ বলছেন, বর্তমান সরকারকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কিছুটা সময় দেওয়া এটাই যুক্তিযুক্ত। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন-বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচনই গণতান্ত্রিক হবে না। আবার কেউ বলছেন আগে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মনের সংস্কার দরকার। মানুষের ভেতরটা না বদলালে কোন সংস্কারেই কাজে আসবে না। এমন মতের পেছনে যুক্তি আছে, তবে প্রশ্নও আছে-এই সংস্কার কে করবে, কবে করবে, কেমন করে করবে?
এই বহুমুখী বক্তব্যের ভেতর লুকিয়ে আছে একটিই সত্য-ভোট ঘিরে অনিশ্চয়তা। প্রশ্ন হচ্ছে, এই অনিশ্চয়তার দায় কার? সরকার বলবে, তারা তো নির্বাচন আয়োজনেই ব্যস্ত। বিরোধী দল বলবে, তারা রোডম্যাপ চায়, কিন্তু কেউ সে পথে হাঁটছে না। নির্বাচন কমিশন বলছে, ডিসেম্বরেই সম্ভাব্য তারিখ ধরে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাব শুধু ক্যালেন্ডার দেখে দেওয়া যাবে না। তবে-ভোট হোক, গোলমাল ছাড়াই হোক। আর জনগণ যেন অন্তত জানে তাদের ভোট কোথায় গেল, কিভাবে গেল। না হলে একদিন ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে-“বাংলাদেশে ভোট হয়েছিল, তবে সেটা কে দেখেছিল, কেউ জানে না।”
একটি বড় অংশের মতে, ইউনূস সরকার দেশকে উন্নয়নের এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভাষায়, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার উন্নয়নম বাজার নিয়ন্ত্রণ, বহিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করা এই সরকারের বড় সাফল্য। কিন্তু সেই একই সময় আরেকটি অংশ আশঙ্কা করছে-যদি জনগণের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হয়, তবে গণতন্ত্র এক গভীর শূন্যতায় নিমজ্জিত হবে। ভোটহীনতা কেবল এক রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটি এক আত্মিক সংকটও—যেখানে জনগণ নিজেকে রাষ্ট্রের মালিক নয়, কেবল দর্শক মনে করে। তবে রাজনীতির প্রতি অনেক সাধারণ মানুষের অনাগ্রহও একটি বড় বাস্তবতা। “সব দলের একই রূপ”-এই হতাশা অনেকের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনীতি এখন ‘মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’, তফাত সামান্য। অথচ গণতন্ত্রে রাজনীতি ছাড়া গতি নেই। সুতরাং রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখাও গণতন্ত্রের প্রতি একধরনের অবহেলা।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো সরকার যখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য ক্ষমতায় থাকতে চায়, তখন তা জনগণের সরাসরি ম্যান্ডেট ছাড়া হলে একটি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরিত্রই হচ্ছে নিরপেক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন। একে দীর্ঘমেয়াদি রূপ দিতে চাওয়া মূলত জনগণের ভোটাধিকার খর্ব করার শামিল। বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরাসরি কোনো ধারা নেই, যেহেতু এটি ছিল রাজনৈতিক আপসের ভিত্তিতে তৈরি একটি ব্যবস্থা। কিন্তু সংবিধান জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন এবং শাসনের মূল কর্তৃত্ব জনগণের হাতে থাকার কথা বলে। তাই সংবিধানিক ব্যাখ্যায়ও স্পষ্ট, দীর্ঘমেয়াদি সরকার গঠন হলে তা জনমত যাচাইয়ের মাধ্যমেই হতে হবে-যা একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ, অর্থাৎ ভোট। বর্তমান বাস্তবতায় জনগণ শুধুই দর্শক নয়-তারা রাজনীতির নিয়ন্তাও। হাঁ-না ভোটের প্রস্তাব এসেছে জনমত যাচাইয়ের এক পন্থা হিসেবে। কেউ কেউ একে গণতন্ত্রের ব্যত্যয় বললেও, অন্যেরা বলছেন, কমপক্ষে এটি জনগণের স্পষ্ট অবস্থান জানার একটি সুযোগ। তবে সেই ভোট যেন স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়—এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার-সমর্থিত দলগুলো যেখানে ইউনূস সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলছে, সেখানে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল এই প্রক্রিয়াকে ‘অগণতান্ত্রিক’ ও ‘জনগণবিরোধী’ বলেই মনে করছে। তারা একটি তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিভক্ত অবস্থান জাতিকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বিএনপি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অবস্থানে রয়েছে। এবার তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছিল। প্রত্যাশা ছিল অন্তত একটি প্রস্তাবনা-যাতে থাকবে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা, ভোটের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার বাস্তব পদক্ষেপ, প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জন্য সমান সুযোগ। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেভাবে হতাশা প্রকাশ করলেন, তাতে স্পষ্ট যে, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান অনেক।  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যেই বলেছেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তারা কোনো নির্দিষ্ট ‘রোডম্যাপ’ পাননি। এতে করে তাদের মধ্যে যে আশাবাদ জেগেছিল, তা কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে যায়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, দলটি একদিকে নির্বাচন চায়, কিন্তু সেটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে না হলে নির্বাচনী পরিবেশকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে না। এই বক্তব্যে শুধু রাজনৈতিক অস্বস্তিই নয়, বরং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সংঘাতেরও ইঙ্গিত রয়েছে। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির তারা দলের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে জানিয়েছেন, তারা চান আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হোক। দলের আমিরের মতে, যদি নির্বাচন জুন পর্যন্ত পিছিয়ে যায়, তাহলে তা বর্ষা মৌসুম, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে পারে। ফলে নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে উঠবে এবং দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ও অবকাঠামোগত সক্ষমতার উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়বে। এই বক্তব্য শুধু একটি সময় নির্ধারণের প্রস্তাব নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। এটি যেমন নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে একটি বাস্তববাদী যুক্তি তুলে ধরে, তেমনি নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর দলটির গভীর অনাস্থা এবং সংশয়ের প্রতিফলন ঘটায়। তাদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে আশঙ্কা—নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে এবং এতে করে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।

জামায়াতের মতো একটি রাজনৈতিক দল যখন সময় নির্ধারণকে কেন্দ্র করে সরাসরি অবস্থান নেয়, তখন বোঝা যায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি গভীর মতানৈক্য বিরাজ করছে-বিশেষ করে নির্বাচনের তারিখ ও প্রক্রিয়া নিয়ে। একপক্ষ বলছে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দরকার, যাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে, অন্যপক্ষ হয়তো বলছে সময় নিয়ে একটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি। এর মাঝখানে সৃষ্টি হচ্ছে সন্দেহ, সংকট ও অনিশ্চয়তার আবহ। এটি আমাদের দেখায়, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়, সময় ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক বাস্তবতা নিয়েও বড় ধরনের মতবিরোধ রয়েছে। এই মতপার্থক্য শুধুমাত্র কাগজে-কলমে নয়-এটি মাঠে-ময়দানে, আন্তর্জাতিক মহলে এবং সাধারণ জনগণের মনেও বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এখানে প্রশ্ন হলো-এত মতপার্থক্যের মধ্যেও কিভাবে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব? এবং রাজনৈতিক দলগুলোর এই অনাস্থা কাটিয়ে কিভাবে একটি সমঝোতার দিকে এগোনো যাবে? যদি সে পথ খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে নির্বাচনের তারিখ নয়—গণতন্ত্রই অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, বর্তমান প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, কারণ তিনি মনে করেন-প্রশাসনের একাংশ বিএনপির পক্ষেও কাজ করছে। এটি একটি ভিন্নধর্মী অভিমত, যেখানে শাসক দল নয়, বরং বিরোধী পক্ষকে প্রশাসনিক প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এনসিপি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির কথা বলেছে-সংস্কার, বিচার এবং গণপরিষদ নির্বাচন। তারা চায় নির্বাচন ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়-কে এই সংস্কার করবে? 

প্রশ্ন উঠেছে-কে ঠিক? কে ভুল? উত্তর সহজ নয়। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, যদি সমঝোতার পথে না হাঁটা হয়, যদি জনগণের ভোটাধিকারকে সম্মান না করা হয়, তবে এই নির্বাচন শুধু একটি তারিখ হবে-নতুন সংঘাতের, নতুন অস্থিরতার, এবং নতুন করে দেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নবিদ্ধ হবার। আজ আমরা এমন এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে সময়সীমা নিয়ে টানাটানি নয়, বরং সময়কে সামনে রেখে ঐক্যমত্য গঠন জরুরি। নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া, তা যেন ‘যুদ্ধ’ না হয়ে ওঠে। রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ-আপনারা একবার অন্তত দেশের মানুষের দিকে তাকান। তারা আর সংঘাত চায় না, তারা শান্তি চায়, প্রগতি চায়, একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। আর তার জন্য চাই স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য এবং সর্বসম্মত একটি নির্বাচন।

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জনগণই বারবার সংকটে সঠিক পথ দেখিয়েছে। আজকের সংকটেও উত্তরণের চাবিকাঠি তাদেরই হাতে। হাঁ-না ভোট হোক বা অন্য কোনো গণতান্ত্রিক পন্থা-সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। সরকার, রাজনৈতিক দল ও সব অংশীজনের উচিত একে অপরের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে এনে একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করা। কারণ, গণতন্ত্র কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা নয়, এটি একটি জাতির সম্মিলিত চুক্তি। এই চুক্তিতে যদি ফাঁক থাকে, তার মাশুল পুরো জাতিকে দিতে হয়। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। আজ যারা ক্ষমতার রাশ টেনে ধরেছেন, কাল ইতিহাস তাঁদের জবাব চাইবে। যদি জনগণের ইচ্ছা অগ্রাহ্য করা হয়, তবে সেই ইতিহাস খুব করুণ হবে-যেমন আমরা অতীতে বহুবার দেখেছি।

লেখক: সাংবাদিক, জীবনমুখী লেখক, কলামিস্ট, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ। 
www.mirabdulalim.com







আরও খবর


প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com