সোমবার ১২ মে ২০২৫ ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


মা দিবসে মা'র স্মৃতিচারণ
মো. আফতাব আনোয়ার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৭:০৮ PM

'মা' শব্দটি সকল শব্দের মধ্যে সবচেয়ে ছোট একটি শব্দ, কিন্তু শব্দটির শক্তি অপরিসীম।
একজন সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষক হলেন 'মা'। শৈশব, কৈশোরকে উন্নত ও আলোকিত করার জন্য প্রয়োজন একটি চমৎকার পরিবেশ। সেই পরিবেশ থেকে আমরা বঞ্চিত হলেও মমতাময়ী 'মা' তাঁর মেধা-মননে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে আমাদেরকে করেছেন আলোকিত। 

আমার 'মা' ছিলেন শিক্ষিত একজন নারী। এমন মায়ের সন্তান হতে পেরে আমি গর্বিত, আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। শৈশব, কৈশোর ও যৌবনে দেখেছি আমার প্রাণপ্রিয় 'মা' মোহাম্মদ  নাসিরউদ্দীন তনয়া নূরজাহান বেগম সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বেগম এছাড়াও চিত্রালী, পূর্বাণী, দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী ও গল্পের বই পড়তেন। এবং ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়তেন। আমি আরবী ও ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করি মায়ের কাছ থেকে। মা আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক ও  পথপ্রদর্শক। মায়ের স্নেহ আর ভালোবাসার স্পর্শে যে শিক্ষা শুরু হয়, তা হৃদয়ে গেঁথে থাকে চিরকাল।
আমার মায়ের জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার (বিক্রমপুর) ষোলঘর ইউনিয়নের হাসাড়া গ্রামে। মায়ের জন্মের পরই নানি মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে খালা মতিয়া চৌধুরী'র কাছে ঢাকায় প্রতিপালিত হন 'মা'। শ্রদ্ধেয় নানা ছিলেন সূঁচ শিল্পের একজন মহান কারিগর। নানার মহৎ গুণগুলোর সবগুলোই পেয়েছিলেন আমার 'মা'। তিনি তাঁর সূঁচ শিল্পের সৃষ্টিশীলতায় সবাইকে মোহিত করতেন। মা'র হাতের কাজগুলো ছিলো অত্যন্ত  সুনিপুণ ও সুন্দর। যেমন কুরশী কাঁটার তৈরি গেঞ্জি, টুপি, উল দ্বারা তৈরি শীত বস্ত্র, জামা-কাপড় সেলাই, কাঁথা সেলাই ও মালটি কালার সূতায় ফুল-পাতা সম্বলিত চোখজুড়ানো ডিজাইনে টেবিল ক্লথ, ওয়াল ক্লথ-রুমাল ইত্যাদি। সুস্বাদু রান্নাতেও মা ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী। মায়ের চমৎকার হস্ত শিল্পের প্রভাব আমার মধ্যেও কিছুটা লক্ষণীয়। শৈশবে এলাকার বাসা-বাড়ির আলমিরাতে দেখেছি কাপড়, শোপিস ও প্রসাধন সামগ্রী। অপরদিকে আমাদের বাসার আলামারিতে থাকতো বাবার সংগৃহীত সাজানো দেশি-বিদেশি নামি-দামি লেখকদের মূল্যবান বই। আলোকিত মানুষ গড়তে হলে পড়তে হবে বই, বই আর বই। বইয়ের কোনো বিকল্প নাই।

'মা' একটি সন্তানের জন্য পরম আনন্দের, সম্মানের, শ্রদ্ধার এবং বিশ্বস্ততায় ভরা এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পৃথিবীর সকল মায়ের রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ আবেদন প্রায় এক। পরম আদরের গর্ভধারিণী 'মা' তাঁর ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য এমন কোনো কঠিন কাজ নাই যা সন্তানের মঙ্গলের জন্য করেন না। 
শীত আসলে অনেক পুলকিত বোধ করতাম এই ভেবে যে, কখন রাত হবে আর 'মা' ঘুমের সময় পরম যতনে রৌদ্রে গরম করে রাখা লেপখানা পরম আদরে গায়ে জড়িয়ে দিবেন। দ্বিতীয়বার লেপের ফাক-ফোঁকর চাপা দিয়ে সন্তানের উষ্ণতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অধিক সময় ব্যয় করে মশারী টাঙ্গিয়ে মাথায় আদরের পরশ বুলিয়ে চলে যেতেন। অথচ পরবর্তীতে জেনেছি নিজে ঠান্ডা লেপ গায়ে জড়িয়ে কষ্ট করে শুয়ে থাকতেন। 

পবিত্র রমজান মাসে শীতের ভোররাতে সাহরি খাওয়ার সময় শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে দিতেন। এবং প্রতি রাতেই গরম পানি দিয়ে প্লেটে হাত ধুইয়ে লোভনীয় খাবার পরিবেশন করতেন । যখন বুঝলাম সন্তানদের জন্য নিজ জীবন উৎসর্গকারিণী 'মা' নিজেকে  কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত রেখে সন্তানের শীতজনিত কোনরূপ সমস্যা যাতে স্পর্শ না করে সেদিকেই প্রাণপণ দৃষ্টি রাখা ছিলো তাঁর একমাত্র কাজ। যা বর্তমান উপলব্ধিতে নিজেকে অনেক অনেক বেশী  অপরাধী মনে হয়। কেনো সেদিন ছোট ছিলাম? কেনো তখন বুঝার ক্ষমতা  হয়নি? তাহলে তো মাকে আমরা ঐ কষ্টকর কাজগুলো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে পারতাম।

শীতকালে দেখতাম মরণচাঁদ মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে 'খিরসা' এনে আমাদের পছন্দের পিঠা পাটিসাপটা বানাতেন। এছাড়াও ভাপা, দুধ পুলি ও দুধ চিতই সারারাত একাকী-নির্জন রান্না ঘরে জাগ্রত থেকে সন্তানদের খুশী করবার লক্ষ্যে পরম যত্নে ও মমতার স্পর্শে বানানো পিঠাগুলি সকাল সকাল আমাদের সামনে অত্যন্ত আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করাই ছিল নিয়মিত একটি বাৎসরিক কাজ। সন্তানদের তৃপ্তিপূর্ণ খাবারের দৃশ্যই যেনো ছিলো মমতাময়ী মায়ের জাদুকরী হাতে বানানো সকল প্রাণান্ত পরিশ্রমের তাৎক্ষণিক বিনিময় মূল্য। 

পৃথিবীর সকল 'মা' ই বোধহয় এ রকম। আগরবাতির ন্যায় নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়ে সন্তানদের আরাম-আয়েশ ও শান্তির যোগান দেয়ার জন্যই যেনো স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ছিলো বাৎসল্যপূর্ণা মায়ের শুভাগমন। প্রাণময়ী মায়ের হাতের  রান্না ছিলো আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-পড়শী ও আমাদের  নিকট অত্যধিক পছন্দের। সম্ভবতঃ মা'র হাতে যাদু ছিলো। প্রতিটি খাবারই হতো অত্যন্ত সুস্বাদু ও লোভনীয়। সেই খাবারের স্বর্গীয় স্বাদ, যা এখনো আমার স্মৃতিতে অমলিন। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে লক্ষ করতাম, মায়ের যাদুকরী হাতের রান্না খেতে দূর-দূরান্ত থেকে পুরান ঢাকার বাসায় চলে আসতেন তাঁরা। বিশেষ করে ঘইন্না মাছের শুঁটকি। বেশী করে তেল ও পেঁয়াজ দিয়ে ঘইন্না শুঁটকি ভুনা করতেন। যা স্বাদে ও গন্ধে ছিলো অতুলনীয়। 

'মা' সকল ছেলে-মেয়ের জন্যই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীকী একটি নাম। 'মা' হলো সন্তানের জন্য বিশুদ্ধ, খাটি, নির্লোভ ও নিঃস্বার্থ ভালবাসার অপর নাম। 'মা' অল্পতেই তুষ্ট থেকে প্রতিনিয়ত আলহামদুলিল্লাহ বলতেন। শুধু দুঃখ লাগে এইভেবে যে সন্তানদের মাধ্যমে কোনরূপ সুখ-শান্তি ভোগ করার সুযোগ না পেতেই তাঁকে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে।০৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মমতাময়ী  'মা' আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, না ফেরার দেশে।

জীবদ্দশায় বাবা'র উপার্জিত আয়েই সংসার পরিচালিত হয়েছে। চাকুরি'র সুবাদে নিয়মিত কিছু দেয়ার চেষ্টা করতাম। যা ছিল আমাদের বৃহৎ পরিবারের ব্যয় হিসেবে যৎসামান্য। মাঝে-মধ্যে যদি অসুবিধার কথা বলতাম, সঙ্গে সঙ্গে 'মা' নিজেদের আর্থিক অসুবিধার কথা গোপন করে সাবলীলভাবে বলতেন, বাবা আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। তাই এ মাসে কষ্ট করে তোমার  টাকা পাঠানোর প্রয়োজন নেই। যদিও টাকা পাঠানো থেকে আমি কখনোই বিরত ছিলাম না। সন্তান হিসেবে আমাদের সামান্যতম অসুবিধা হোক, তা মনে-প্রাণে  চাইতেন না। 'মা' ই ছিলেন আমাদের কাছে মানুষ হিসেবে সবার উপরে, চরম শ্রদ্ধার, গর্বের  এবং সর্বশ্রেষ্ঠ একটি নিরাপদ ছাতা।
উল্লেখ্য আমার বিশেষ কোনো অসুবিধায় যদি কোনো মাসে শ্রদ্ধেয় বাবা-মা'কে টাকা পাঠানো থেকে  বিরত থাকার ইচ্ছে পোষণ করতাম। তখন আমার সহধর্মিণী  নিজ সংসারের সমস্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁর শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে যথাসময়ে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে জোড়ালো তাগিদ অনুভব করে বলতেন, ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। তুমি তোমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাও। যা আমার জীবন চলার পথকে সুগম করার জন্য ছিলো যথেষ্ট সহায়ক।

আর্থিক দৈন্যতায় ভালো পরিবেশে আমরা বেড়ে উঠতে পারিনি, এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনই সত্য, বড় হয়েছি মা'র সততা, নীতি ও আদর্শ নিয়েই।  মায়ের আদর, যত্ন ও মায়া-মমতায় আমরা তাঁর আঁচলে মাথা রেখেই বড় হয়েছি। শত প্রতিকূল পরিবেশ-প্রতিবেশেও মায়ের সতর্ক দৃষ্টি, নিয়ম-নীতি ও আদর্শের চাদর থেকে বিচ্যুত হতে দেননি। কিন্তু মায়ের প্রতি যতটুকু দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিলো, সামর্থ্যের অভাবে তা যথাযথভাবে পালন করা আমাদের পক্ষে মোটেই সম্ভব হয়নি।

আমি চাকুরি নিয়ে যখন সপরিবারে সিলেটে চলে আসি, তখন আমার পরম স্নেহপূর্ণা 'মা' আমার সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত পছন্দের খাট, শোকেস, লেপ, তোষক, কাঁথা, বালিশ, পাটা -পুতা, হাড়ি-পাতিল সহ সাংসারিক বহু কিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। যা আমি ট্রেনে বুকিং দিয়ে সিলেটে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলো শুধু আমার কাছে  আসবাবপত্র তৈজসপত্রই  ছিলোনা, ছিলো মায়ের স্পর্শ মাখা স্নেহময় উপস্থিতি। এই আসবাবপত্র আর তৈজসপত্রগুলো  আমার শুধু প্রয়োজনীয়তাই মেটায়নি, বরং মায়ের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলতো।

জন্মদাত্রী 'মা' বছরে দু'বার আমাদের দেখতে সিলেট আসতেন। বিশেষ করে ঈদ উল আযহার পরবর্তী সময়ে মাংসের কোপ্তা, কোর্মা সহ আমরা যা যা খেতে পছন্দ করতাম, তার সবকিছুই ছোট ভাই আখলাক বা ভাতিজা শিশিরকে নিয়ে চলে আসতেন। তাঁদের উপস্থিতি আমাদের একাকিত্ব ঈদকে আনন্দে ভরিয়ে দিতেন। রমজানের ঈদ ঢাকাতে করলেও কোরবানির ঈদ সিলেটেই করতাম। কারণ ক্যাম্পাসের সবার সঙ্গে কোরবানি দেয়ার জন্য এ ঈদে ঢাকা যাওয়া হতো না। মা যখনই আসতেন পছন্দের মাছ-মাংস, শুটকি ভূনা, নিজ গাছের সবজি, পেয়ারা সহ পিঠা-পায়েস তৈরি করে নিয়ে আসতেন।

মা এখানে বেড়াতে আসতেন না। ছেলে, বউমা, নাতি-নাতকুরদের পছন্দের খাবার খাওয়াবার উদ্দেশ্যে আসতেন। যতদিন ছেলের এখানে থাকতেন ততদিনই ছেলের বউকে রান্নার কাজে বিরত রাখার চেষ্টা করতেন। তাছাড়া ছেলের সবজি ও ফল বাগানের পরিচর্যা করতেন। যাওয়ার সময় ঢাকায় থাকা ছেলে-মেয়েদের জন্য নিয়ে যেতেন। খুবই আনন্দ পেতেন শাক-সবজি ও ফল-ফলাদির গাছের পরিচর্যা করে নিজে খেতে ও অন্যকে খাওয়াতে। সিলেটে এসে নিজের ছেলে-মেয়েদের মতো নাতি-নাতনিদের গোসল করিয়ে, চুল আঁচড়িয়ে, কাপড়-চোপড় পড়িয়ে, কপালে ডিজাইন করে কাজল লাগিয়ে, কাজলের উপর পাউডারের প্রলেপ দিয়ে খুব আনন্দ পেতেন। এরপর খাওয়া-দাওয়ার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে থাকা শিশু পার্কে  সিসো, দোলনা ও স্লাইডারে উঠিয়ে নিয়ে ছেলের সরকারি কোয়ার্টারে ফিরে আসতেন। সপ্তাহখানেক থেকে ঢাকায় থাকা ছেলেমেয়েদের কথা মনে করে আবার ঢাকা যাওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠতেন। আমাদের শত অনুনয় বিনয়কে উপেক্ষা করে 'মা' চলে যেতেন। রেখে যেতেন তাঁর সাতদিনের মধুর স্মৃতি গুলোকে  আমাদের মাঝে। মায়ের স্মৃতিগুলো এতোটাই জীবন্ত থাকতো যে, তাঁর পরবর্তী আগমনের পূর্ব পর্যন্ত আমরা সেই মধুর অনুভূতিতে বিভোর হয়ে থাকতাম।

ছিলোনা তখন মোবাইলের যুগ, তাই চিঠিই ছিলো একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। একে অপরের কুশল বিনিময় হতো পনেরদিনে একবার। যা ছিলো পরিবারের সকল সদস্য ও নিকটজনদের বিস্তারিত তথ্যসম্বলিত ফিরিস্তি। আনন্দময় খবরে হতাম আনন্দিত, দুঃখের খবরে হতাম দুঃখিত। সীমাবদ্ধ খবর আদান-প্রদানের এই মাধ্যমটিই ছিলো আমার নিকট সবচেয়ে আনন্দের। মা, তুমি হয়তো আজ আমার পাশে নেই, কিন্তু তোমার ভালোবাসা, আমার হৃদয়ে চিরকাল অমলিন থাকবে। আমি সদা সর্বদা তোমার স্নেহমাখা স্পর্শ অনুভব করি। যতদিন বেঁচে থাকি, তুমি আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

লেখক: কর্মকর্তা (অবঃ), বিআরডিবি, পল্লী ভবন, কাওরানবাজার, ঢাকা-১২১৫
anwaraftab611@gmail.com







 সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ শন টেইট
কার্টআপ নিয়ে এলো “মে ম্যাডনেস” ক্যাম্পেইন
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
রিশাদের ব্যতিক্রমী জন্মদিন উদযাপন
আবেগঘন বার্তায় অবসরের ঘোষণা দিলেন কোহলি
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

ডাল্টন জহির আন্তর্জাতিক ইকোট্যুরিজম সোসাইটির পর্তুগালের সভাপতি এবং ইউরোপের প্রধান নির্বাচিত
ভালুকায় দোকান ও স্কুলের অফিস কক্ষে আগুন, ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
রন্ধনবিদ শাহনাজ ইসলামের 'মালাই' এর উদ্বোধন
ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ মীর নেওয়াজ আলীর
সালথায় গ্রাম্য দু-দলের সংঘর্ষের যেরে অন্য এলাকার লোক এনে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট আহত-১৫
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com