প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৬ PM
জেলার কুলাউড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার প্রধান সড়ক হইতে জালালাবাদ গ্যাস অফিসের দক্ষিণে রবিরবাজার (রেলক্রসিং) রোড পর্যন্ত চাতলগাঁও এলাকায় প্রায় অর্ধ কিলোমিটার খানাখন্দ ও বড়বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা সড়কে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। হালকা বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি ও কাঁদা জমে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।এছাড়াও ময়লার ফেলার জন্য স্থায়ী কোন ডাসবিনও নেই। এতে করে ময়লার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। বর্ষা মৌসুমে এলাকার কেও অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে পরতে হয় বিপাকে। জরাজীর্ণ রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে হাবুডুবু খায়। মাত্র আর্ধ কিলোঃ এ সড়কটি গেল ৮ বছরে কোনো ধরনের সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
অতচ এ সড়ক ব্যবহার করে উপজেলা শহরে যাতায়াত করছেন এ গ্রামের মানুষ । সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম ফয়ছল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাতলগাঁও এলাকায় ছোটবড় প্রায় ৮০টির বেশি পরিবার বাস করে এটি নামেই পৌরসভা, কিন্তু দীর্ঘ বছরেও রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি।পৌরসভার সব ওয়ার্ডেই টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু আমরা বারবার কর্তৃপক্ষ কে বলার পরও কোন সুরাহা পাইনি। অতচ ভোটের সময় সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পরে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক কষ্ট করে আমাদের চলাচল করতে হয়। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেলাল আহমদ জানান, রাস্তা খারাপের কারণে প্রায়ই অটোরিকশা উল্টে মানুষ আহত হয়। ভোটের সময় এই ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কোমলমতি বাচ্চারাও এই ওয়ার্ডের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। বর্ষায় কাঁদামাটি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।
কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানান, রাস্তার অবস্থা এত খারাপ রিকশায়ও যাওয়া যায় না, পায়ে হেঁটে যাওয়াটাও অনেক কষ্ট। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কুলাউড়া পৌরসভার ৪,৫ ও ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তাছলিমা সুলতানা মনি বলেন, এই রাস্তাটি অত্যন্ত বেহালদশা। চাতলগাঁও গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। যার ফলে জনগণের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। আমি কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় বারবার উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন কারণে সম্পূর্ণ করতে পারিনি। তবে শুনেছি বর্তমান প্রশাসক মহোদয় এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে এবং জনগণের কষ্ট লাগব হবে।
সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুলাউড়া পৌর প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন বলেন, সত্যিকার অর্থে পৌরসভার এ রাস্তাটির অবস্থা নাজুক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওয়াতায় পৌরসভার বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই ছোটবড় কাজ চলমান রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি নতুন প্রজেক্টের মাধ্যমে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।