শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এই পুরো মাস ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পানাহার থেকে বিরত থেকে সিয়াম পালন করেন। হঠাৎ করে এসময় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই সুস্থভাবে পুরো রমজান কাটানোর জন্য অনেকরকম প্রস্তুতি নিতে হয়।
রমজানে খাবারের ধরন, সময়, পরিমাণ ও পরিবেশন পরিবর্তিত হয়। তবুও যেন দৈনিক পুষ্টি আর ক্যালরির চাহিদা অপরিবর্তিত থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। সুস্থভাবে রমজান পালন করতে সঠিক খাবার নির্বাচনের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কী খাবেন ইফতারে, চলুন জেনে নিই-
রোজা ভেঙে যা খাবেন
সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর প্রথম খাবার হলো ইফতার। আজানের পর একটি বা দুটি খেজুর আর পানি পান করে ইফতার শুরু করুন। পাশাপাশি এমন কিছু পানীয় গ্রহণ করুন যা শরীরে শক্তি জোগাবে এবং ইলেক্ট্রোলাইটের চাহিদা পূরণ করবে।
ইফতারে পানীয় হিসেবে যা খাবেন
ঘরে তৈরি ফলের শরবত (চিনি ছাড়া)
ডাবের পানি
দই ও ফলের স্মুদি
আখের গুড়ের শরবত
লেবু-মধু পানি
লাচ্ছি
তোকমা বা ইসুবগুলের শরবত
চিড়ার শরবত
বাজারে অনেক ধরনের জুস বা ড্রিংক্স পাওয়া যায়। এগুলোতে নানা রাসায়নিক মেশানো থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব এড়িয়ে চলুন। তাজা ফল দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করবে।
ইফতারে মূল খাবার কী খাবেন?
খেজুর আর পানীয় খাবার পর অন্তত আধা ঘণ্টার বিরতি নিন। এসময় নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এরপর ইফতারের মূল খাবার হিসেবে রাখুন ঘরে তৈরি খাবার। হালকা ভাজা খাবার খেতে পারেন তবে এমন খাবার প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো।
স্বাস্থ্যকর মূল খাবারের তালিকায় যা রাখতে পারেন
ঘরে তৈরি খিচুড়ি আর সেদ্ধ ডিম
সবজি ও মাংস দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি
রুটি, সবজি ও ডিম
অল্প ভাত ও কম মসলায় রান্না করা তরকারি
এগ ভেজিটেবল নুডলস
ইফতারে আরও যা খেতে পারেন
ইফতারে এমন খাবার রাখুন যা সহজে হজমযোগ্য। স্যুপ, তরলজাতীয় খাবার কিংবা ফলের শরবত বা স্মুদি গ্রহণ করতে পারেন।
ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবারের পরিবর্তে খেতে পারেন দই-চিড়া কিংবা বিভিন্ন ফলের মিক্সড সালাদ। এসব খাবার পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। শরীর রাখবে হাইড্রেট।
ইফতারে হালিম খেতে পারেন। কারণ এতে একসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের ভালো কম্বিনেশন থাকে। তবে কিডনিজনিত সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে ডালজাতীয় খাবার কম খাওয়াই শ্রেয়।
ইফতারে সেদ্ধ ছোলা খেতে পারেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, টক দইয়ের মতো উপাদান।
ইফতারে ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন মিশ্র ফল বা দুগ্ধজাত খাবার। তবে খেয়াল রাখবেন, খাবার যেন ঘরে তৈরি এবং পরিমাণে বেশি না হয়।