বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫ ১ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


বাবা নেই, তারপরও সম্মাননা প্রাপ্তি’তে গর্বিত কন্যা
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ AM

চিত্রমহল প্রতিবেদক :
সুবীর নন্দী, বাংলাদেশের গানের অন্যতম ধারক-বাহক। তার কণ্ঠের গানে মুগ্ধ হয়েছেন এদেশের গান প্রেমী কোটি কোটি দর্শক শ্রোতা। বাংলা গানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি করেছেন পরিচিত, সমৃদ্ধ, শ্রোতাদের কাছে করেছেন আরো বেশি গ্রহনযোগ্য। তিনি নেই আমাদের মাঝে, কিন্তু তারপরও তিনি তার গানের মাঝেই আমাদের কাছে অমর হয়ে আছেন। একজন সুবীর নন্দী বাংলাদেশের অহংকার, বাংলা গানের গর্ব। বাংলা গানের এক আলাদা সৌন্দর্য্যতার সৃষ্টি হয় তার কণ্ঠের গানে। আধুনিক গানে, সিনেমার গানে সুবীর নন্দী’র গান শ্রোতা দর্শকের কাছে অন্য এক আবেগের গান। সুবীর নন্দী’র গান মানেই ছিলো শুদ্ধ, পরিশীলিত সকল শ্রেনীর শ্রোতাদের কাছে গ্রহনযোগ্য গান। সুবীর নন্দী নেই, কিন্তু তারপরও এই দেশ তার পরিবারকে শ্রদ্ধার চোখে, সম্মানের চোখে দেখছে। সেই ধারাবাহিকতায় গেলো ২৯ ডিসেম্বর ছিলো এই পরিবারের জন্য আরেকটি বিশেষ দিন। ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের গান’ এই শ্লোগানকে সঙ্গী করে শুধুমাত্র সঙ্গীত নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আয়োজন ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা প্রদান করে ৫০’জন সঙ্গীত গুনীকে। যেখানে সম্মাননা প্রদান করা হয় একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীকেও। রাজধানীর বনানীস্থ একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিকেল তিনটায় এই সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করা হয়। বাবা নেই, সুবীর নন্দী’র কন্যা ফাল্গুনী নন্দী তার বাবার এই সম্মাননা নিজ হাতে গ্রহন করেন। অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে ফাল্গুনী নন্দী বলেন, ‘বাবু আজ অনেক দূরে। কিন্তু তার প্রাপ্তি আর সম্মান তিনি এখনো পেয়ে যাচ্ছেন। আর সেই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতার ৫০ বছরে তার অবদানের জন্য আরেকটি সম্মাননা। ভীষণ ভালোলাগার মুহূর্ত ছিল সম্মাননা গ্রহনের সেই মুহুর্তটি। অনেক গুণীজনেরা সম্মানিত হয়েছেন। আর সুবীর নন্দী’র পরিবারের পক্ষ থেকে, আমার মায়ের পক্ষ থেকে সবাইকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। আমার বাবা যেন তার গানের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকেন, এটাই চাওয়া। সবাই আমার বাবার জন্য এবং আমাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করবেন।’ রাজা হোসেন খান ও সুজেয় শ্যামের সঙ্গীত পরিচালনায় আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ ছবিতে ১৯৭৪ সালে সুবীর নন্দী প্রথম প্লেব্যাক করেনএ প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলমগীর কবির পরিচালিত ‘মহানায়ক’ সিনেমাতে গান গেয়ে। এরপর তিনি ‘শুভদা’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ‘মেঘের পর মেঘ’ সিনেমাতে গান গেয়েও একই সম্মাননা অর্জন করেন। সেই সঙ্গে ১৯৭৭, ১৯৮৪, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে বাচসাস পুরস্কারও অর্জন করেন। সুবীর নন্দীর প্রথম একক এ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ১৯৮১ সালে বাজারে আসে। ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর তিনি নানা হয়েছিলেন। সূবীর নন্দীর একমাত্র কন্যা ‘ফাল্গুনী নন্দী’র স্বামী ড. রাজেশ সিকদার ও একমাত্র ছেলে নাম ‘রিদ্ধিমান’।
    ছবি: ফাল্গুনী নন্দীর সৌজন্যে







প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com