প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ পিএম (ভিজিট : ২৯)
পটুয়াখালীর বাউফলে নকল স্টাম্প ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে মো. তরিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ মিলুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত তরিকুল ইসলাম নওমালা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ মাতবরের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তার বিরুদ্ধে নকল স্টাম্প ব্যবহার ও জাল দলিল তৈরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলা নং ৮২/২৫–এর প্রেক্ষিতে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১১৮ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে এ শাস্তি দেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালে তরিকুলের কর্মস্থল ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও তল্লাশি চালায় প্রশাসন। তরিকুলের কথিত নিয়োগদাতা ধুলিয়া ইউনিয়নের হাসান (পিতা মুজিবুল হক) দাবি করেন, “তরিকুল আমার দোকানে ৩–৪ মাস ধরে কাজ করে। জাল স্ট্যাম্প বা দলিলের ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। তাকে কোনো বেতন দিই না; বরং নিজের আয় থেকে কিছু দেয়। যদি সে অপরাধ করে থাকে, তার শাস্তি হয়েছে—এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
এসময় পাশের দোকানদার নুরু হোসেনের ছেলে হাসান জানান, “এসিল্যান্ড স্যার আমার দোকানও তল্লাশি করেছেন, তবে কোনো অনিয়ম পাননি। পরে পাশের দোকান থেকে তরিকুলকে আটক করেন এবং ‘হাসান ডিজিটাল’ থেকে মালামাল জব্দ করেন।”
অভিযানে ‘হাসান ডিজিটাল অ্যান্ড স্টুডিও’ বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। স্টুডিওটির মালিক হাসান (পিতা দলিল উদ্দিন বেপারী) মদনপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
একই অভিযানে সাব–রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন মীর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খাবারের নিম্নমান, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও খাবারে ঢাকনা ব্যবহার না করার অভিযোগে হোটেলটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ভূমি–সংক্রান্ত প্রতারণা, নকল স্টাম্প ও জাল দলিল প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। কঠোর পদক্ষেপে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলেও জানান তারা।