চৌদ্দগ্রামে কেন্দ্র পরিচালক সমাবেশে ডা. তাহেরের মন্তব্য
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, “জুলাই সনদকে সাংবিধানিকভাবে বৈধতা দিতে সরকার সব দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে। তবে সংস্কার নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি হঠাৎ অবস্থান বদলেছে। তারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং এখন আর আরপিও বা সংস্কার কোনোটিই মানছে না। বরং তারা বলছে গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে হতে হবে — যেন তালের রস ও আমের রস একসাথে করে ফেলার মতো অবস্থা তৈরি করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি’র বর্তমান ভূমিকা ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে যারা পালিয়ে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, তারা সুযোগ নিতে পারে। মনে হচ্ছে বিএনপি আবারও সেই সংস্কারবিহীন পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে যাবে না।”
শুক্রবার সকাল ১১টায় কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সকল কেন্দ্র পরিচালকদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, “সরকার যদি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায়, তাহলে এটা প্রমাণ হবে যে তারা নিরপেক্ষ নয়। সরকারের নিরপেক্ষতা হারালে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি এখন আরপিও, রাষ্ট্র সংস্কার বা গণভোট— কিছুই মানছে না। সরকার যদি অপকৌশল করে, জনগণ তখন আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে। সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ তাদের প্রতি আস্থা রাখবে না।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মু. মাহফুজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এডভোকেট, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মু. মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ভিপি সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইব্রাহীম, নেতা আয়ুব আলী ফরায়েজী, সাবেক উপজেলা দক্ষিণ আমীর শাহ মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, পৌরসভা সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ওপেলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।