প্রকাশ: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৮ পিএম (ভিজিট : ৮১)

দক্ষিণ চীন সাগরে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হেলিকপ্টার ও একটি যুদ্ধবিমান ‘রহস্যজনকভাবে’ বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) পৃথকভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে উভয় দুর্ঘটনাতেই সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, দুই দুর্ঘটনাই ঘটেছে নিয়মিত অভিযানের সময়। ঘটনাগুলোর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ থেকে নিয়মিত অভিযানের সময় একটি এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টার সাগরে পড়ে যায়। দ্রুত তৎপরতায় তিন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর একই রণতরী থেকে পরিচালিত আরেকটি এফ/এ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানও বিধ্বস্ত হয়। দুই পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নামতে সক্ষম হন এবং তাদেরও নিরাপদে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
এ বছর এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হারানো অন্তত চতুর্থ এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান। এর প্রতিটির দাম প্রায় ছয় কোটি ডলার। চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সীমান্তঘেরা দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ। একাধিক দেশ এর অংশবিশেষ দাবি করলেও চীন প্রায় পুরো জলসীমার মালিকানা দাবি করে।
গত দুই দশকে বেইজিং ওই বিতর্কিত দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, চীনের এই সামরিকীকরণ ও মালিকানা দাবি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চলাচলের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। চীনের দাবির প্রতিবাদ ও মিত্র দেশগুলোর সহায়তা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মার্কিন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে টহল দিয়ে আসছে।
এর আগে চলতি বছরের বসন্তে লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর আরও দুটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। এর একটি বিমানবাহী রণতরী থেকে সাগরে পড়ে যায়, অন্যটি অবতরণের সময় ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়া, গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া উপকূলে প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময়ও আরেকটি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি ইউএসএস নিমিৎজ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী। এটি আগামী বছর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।