প্রকাশ: রোববার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম (ভিজিট : ১৬০)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়তে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলাতেও। কলকাতার আবহাওয়া দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি হয়েছে এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যার নাম ‘মন্থা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়বে। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ওইদিন থেকেই সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এরই মধ্যে মাছ ধরতে সমুদ্রে গেছেন, তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এরই মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবার এটি অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
রবিবার আকাশ থাকবে ঝলমলে ও পরিষ্কার। তবে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলসংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাগুলোতে জারি করা হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় থাকবে মেঘলা আকাশ। বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর পানিস্তর বাড়তে পারে ও ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- মাঠে যদি পাকা ফসল থাকে, তা দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য। ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে।