প্রকাশ: রোববার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম (ভিজিট : ২০)

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে এক গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত আক্রাম হোসেনের ছেলে ফজলুল করিম ও ফরহাদ হোসেনকে আটক করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভালুকা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা রাশিদা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার আক্রাম হোসেনের পরিবারের পূর্ব বিরোধ চলছিল। এর জেরে শনিবার সকালে রাশিদা বেগম নিজ ঘরে কাজ করছিলেন।
এ সময় প্রতিবেশী আক্রাম হোসেন ও তার ছেলেরা পূর্ব শত্রুতার জেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রাশিদাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে এনে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও বিবস্ত্র করে মারধর করে।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাশিদা বেগমকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বলেন, “আক্রাম হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের সঙ্গে বিরোধ করে আসছে। তারা পূর্বেও আমার ঘরের মিটার, দরজা ও জানালা জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। তাদের ভয়ে আমি সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
স্থানীয়রা জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তারা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল আমিন বলেন, “দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং লিখিত অভিযোগও পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”