প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫২ পিএম (ভিজিট : ৩৯)

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ৩০ মামলার আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট বিকেলে গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনার জন্য রওনা হয়। তারা সরকারি স্পিডবোটে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছায়। তখনই নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ডাকাত হাইস্পিড ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং চর্তুদিক থেকে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পুলিশের বাধার মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি করছে নয়ন, পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন তাদের হাতে খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি দল সোমবার আবুল কালামকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাধীন মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ১টি পাইপগান, ২টি বুলেট, ১টি টাকা গণনার মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। কালামের নামে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ৩টি হত্যা, ১টি ডাকাতি, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক, ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।
এছাড়াও গত ২৮ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর এবং ৭ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ পৃথক অভিযানে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।