প্রকাশ: রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম (ভিজিট : ৩৫)

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব হলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদশি পণ্যে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমানোর আশ্বাস দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বাণিজ্য ঘাটতিও কমা শুরু করেছে এবং তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। শিগগির এ বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হবে।
আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কার্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরও কিছুটা কমাতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছে প্রতিনিধি দলটি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যেসব পণ্য কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কেনাকাটার বিষয়েও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কের হার কমিয়ে ২০ শতাংশ কার্যকর করেছে। তবে দেশটির সঙ্গে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। পাল্টা শুল্ক অন্তত ১৫ শতাংশে নামিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ঢাকা। এ কারণে আলোচনার জন্য ইউএসটিআরের কাছে সময় চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সাড়া দিয়ে ঢাকা সফরে এসেছে সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইউএসটিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে দরকষাকষিতে দুই পক্ষ একমত হলে খসড়ায় সংশোধন এনে তা চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর প্রথমে ৩৭ শতাংশ এবং পরে ৩৫ শতাংশ ‘পাল্টা শুল্ক’ ঘোষণা করে আলোচনার সুযোগ রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে গত ৩১ জুলাই পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।