প্রকাশ: রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম (ভিজিট : ২৩)

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে। বৈঠকে কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত আছেন। বিকেল ৩টার পর আলোচনা শুরু হয়।
এতে অংশ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু বিষয় ছিল যেগেুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আর কিছু বিষয় আছে যেগুলো সংবিধান-সংশ্লিষ্ট। যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় সেগুলো অর্ডিন্যান্স অথবা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
কিন্তু রাষ্ট্র কাঠামোর অনেক বিষয় যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যাতে সংবিধানের মৌলিক কতগুলো বিষয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এত বড় পরিবর্তন যে সেগুলোকে শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে টেকসই করা সম্ভব কি না তার আশঙ্কার জায়গাটি আমাদের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশে ইতোমধ্যে হাইকোর্টে সংবিধানের সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো বাতিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সংবিধানে যে মৌলিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসছি তা কীভাবে টেকসই ও কার্যকর করা যায় সেই ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রেখেছি পদ্ধতি ঠিক করার জন্য।
আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান ও নতুনভাবে লিখিত ধারা-উপধারা ও অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যে সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি সেগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, তার জন্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আবেদন– কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সবার কাছে প্রশ্নাতীত করে আমরা কমিশনের কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করতে পারি।