
জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ১৪ দলীয় জোটের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল হলো এ দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের এজেন্ট এবং আওয়ামী লীগের দোসর।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক এসব কথা বলেন। জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
মামুনুল হক দাবি করেন, এখন আবার এদের (জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোট) ঘাড়ে ভর করে পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বার্থে এই দলটিকে রাজনৈতিক মাঠে রাখা যৌক্তিক নয়। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি- জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
গতকাল শনিবার মজলিস থেকে জানানো হয়, ৮টি দল এই দাবি আদায়ে যুগপৎ কর্মসূচি দেবে। পরে বিকালে এবি পার্টি ও এনসিপি এই প্রক্রিয়ায় নেই বলে বিবৃতি দেয়।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো জুলাই সনদকেও কাগুজে, অকার্যকর লেখায় পরিণত করা যাবে না। যেকোনো মূল্যে জুলাই সনদকে কার্যকর করতে হবে। এটি আগামী সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ক্ষমতায় গিয়ে সবাই ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থার প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়- ৭২-এর বিশেষ ক্ষমতা আইন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সুতরাং জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য অধ্যাদেশ, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ঘোষণা কিংবা অন্য যেকোনো কার্যকর প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে।
মামুনুল হক জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি করেন। তিনি বলেন, এককক্ষ সংসদ ব্যবস্থা ক্ষমতার একচেটিয়া আধিপত্য সৃষ্টি করে। এজন্য সংসদে উচ্চকক্ষ দরকার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এ ব্যাপারে সব দলই একমত পোষণ করেছে।’
পিআর (সংখ্যানুপাতিক) ছাড়া উচ্চকক্ষ গঠিত হলে তা কেবল বেকার পুনর্বাসনের উচ্চকক্ষ হবে বলেও উল্লেখ করে মামুনুল হক।
দাবি আদায়ে মামুনুল হক কয়েকটি কর্মসূচি দেন মামুনুল হক। এগুলো হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল; ১৯ সেপ্টেম্বর সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল; ২৬ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। উপস্থিত ছিলেন– সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মুসা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ প্রমুখ।