প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম (ভিজিট : ৯৪)
সারা বাংলাদেশে জুয়া ও ক্যাসিনো বন্ধ ও অপরাধীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময় কুড়িগ্রামে ক্যাসিনো খেলার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও অভিভাবকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা দ্রুত জিয়াকে আইনের আওতায় এনে যুবসমাজকে জুয়ার প্রলোভন থেকে রক্ষার দাবি করছেন এবং যৌথবাহিনির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কাঠমিস্ত্রি মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও বিলাসী জীবনযাপন ও কোটি টাকা খরচের মাধ্যমে জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। মাত্র তিন বছরে তিনি রংপুর শহরে জমি কিনেছেন, সপ্তাহে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সমাজে বেপরোয়া জীবনযাপন করছেন। ভিআইপি ব্যক্তিদের সঙ্গে তার উঠাবসা স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করেছে।
জিয়ার এই কর্মকাণ্ডের কারণে ওই এলাকার শতাধিক যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। সমাজ নষ্টের মূল কারণ জিয়াউর রহমান জিয়া। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।
ক্যাসিনোর সাথে জড়িত বেগমগঞ্জ ও মোল্লাহাটের বাসিন্দা মোঃ আলমগির বাবু, ওরফে ক্যাকরা বাবুসহ এই চক্রটি এলাকায় ‘ক্যাসিনো সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত।
নিঃস্ব হওয়া পরিবারের সদস্য মোঃ জাহিদ জানিয়েছেন,জিয়া ১৫ দিনের মধ্যে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখান। প্রথমে ক্যাসিনো একাউন্ট খোলার জন্য ৪৩ হাজার টাকা নেন, পরে পর্যায়ক্রমে প্রায় ১৪ লাখ টাকা ক্যাসিনোতে হারাই। ঋণ ও ধারদেনার মানুষের কাছে মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে সব ক্যাসিনোতে শেষ করি। দোকানের ফ্রিজ বিক্রি করেও টাকা দিই। ক্যাসিনোর প্রলোভনে পড়ে এখন আমি ঋণের চাপে পলাতক।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,ক্যাসিনো সম্রাট মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা, আবু তাহের, বাবলু ও শফিকুল ইসলাম হৃদয় উল্লেখ করেছেন, কুড়িগ্রামের জেলাবাসীর নিরাপত্তা ও যুবসমাজের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য ক্যাসিনোর এই সম্রাটকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা অপরিহার্য। যৌথবাহিনির হস্তক্ষেপ জরুরি।
কুড়িগ্রামের যুবসমাজ ও অভিভাবকরা মনে করছেন, দ্রুত আইন প্রয়োগ করা না হলে এলাকার আরও মানুষ জুয়ার লুণ্ঠনের শিকার হবেন।