প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ PM
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশের একাংশের কবি, সাহিত্যিক ও অভিনয়শিল্পী ১৫ আগস্ট উপলক্ষে শোক প্রকাশ করে নিজেদের অনুভূতিকে বিসর্জন দিয়েছেন। বস্তুগত সুবিধা পাওয়ার আশায় এরা ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘৩৬-জুলাই’- এর প্রিমিয়ার শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি দলের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে বই লেখার পুরস্কারস্বরূপ বিগত সরকার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ পদে পদোন্নতি দিয়েছে। একইভাবে শিল্প–সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক তারকাকেও রানওয়ের পাশে ফ্ল্যাট ও মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
১৫ আগস্ট নিয়ে সেলিব্রেটিদের পোস্ট দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, অভিনয়শিল্পী ও মিডিয়ায় যুক্ত মানুষদের তো সবচেয়ে সংবেদনশীল হওয়ার কথা। অথচ যারা ‘পানি লাগবে পানি’ বলে গুলিবিদ্ধ বন্ধুর জন্য ছুটে গিয়েছিল, সেই দৃশ্য তাদের মনকে একটুও নাড়া দিলো না। অথচ তারা শোকের নামে পোস্ট দিচ্ছেন, নানা প্রশংসা করছেন। আসলে তারা তাদের সেই অনুভূতির জায়গাটা বিসর্জন দিয়েছেন।
ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্রনেতা টুকুর উদাহরণ টেনে বিএনপি নেতা বলেন, আন্দোলনের সময় তাদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়েছে। ডাকসুর ভিপির গায়ে হাত দিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার— এটাই প্রমাণ করে তাদের মানসিকতা কতটা দমনমূলক।
তিনি জুলাই আন্দোলনকে “সব দ্রোহের সমষ্টিগত বহিঃপ্রকাশ” বলেও আখ্যা দেন। তার ভাষায়, গত ১৬ বছরের গুম, হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তরুণ সমাজে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছিল, যার বিস্ফোরণ ঘটেছে জুলাইয়ে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত একটি বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আমিও বিশ্বাস করতাম বইটি মুজিব সাহেব নিজে লিখেছেন। পরে দেখা গেলো, এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীরা দায়িত্ব পেয়ে সেটি তৈরি করেছেন। এর বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা, ফ্ল্যাট, প্লট।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর প্রমুখ।