প্রকাশ: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫০ PM
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক পদে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে শূন্য পদ ছিল এক লাখ ৪২টি। সেই হিসাবে ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদই শূন্য থেকে গেল।
যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য রেখেই ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি। তারা আগামী প্রজন্মকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে। যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপযুক্ত তাদের তথ্য ডিজিটালি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। আশা করি, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ডিজিটাল রূপান্তর আগামী দিনগুলোতে আরো শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।’
এনটিআরসিএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদ ছিল এক লাখ ৮২২টি। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। ফলে শূন্যপদ ছিল এক লাখ ৪২টি। এ পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
তাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেছে।
তবে শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম। পববর্তী গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব শূন্য পদ পূরণ করবে এনটিআরসি।
তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চসংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য যাতে সুপারিশ করা যায়, সে জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।
অনেকে নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত পদ, বিষয় ও প্রতিষ্ঠানের যে ধরন, তারও বাইরে আবেদন করেছেন। তাদের বাদ দিতে হয়েছে। অনেকে আবার যে প্রতিষ্ঠানগুলো পছন্দক্রমে দিয়েছেন, সেখানে আসন ফাঁকা নেই। ফলে তাকে বাদ পড়তে হয়েছে।’