প্রকাশ: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৪৭ PM
কঠিন ডায়েট আর শরীরচর্চা করে পুরো শরীরকে বাগে আনা গেলেও ভুঁড়ি কিছুতেই কথা শোনে না। পেটের মেদ যেন কিছুতেই কমতে চায় না। অনেকে ভাবে চিনি খাওয়া ছাড়লেই বুঝি ওজন কমবে। আসলে তা নয়। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানার পাশাপাশি রোজকার জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নয়তো ওজন আর ভুঁড়ি কোনটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।
রোজকার কিছু অভ্যাস ভুঁড়ির জন্য দায়ী। এই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
স্থূলতার সবচেয়ে বড় কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। বিশেষত অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার স্থূলতার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে, প্রক্রিয়াজাত মাংস ও তেলেভাজা খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।
অলসতা
গরম পড়লেই তৈরি হয় ব্যায়ামের প্রতি অনীহা। আর এই শরীরচর্চা না করার অভ্যাসই শরীরে মেদ জমার প্রধান কারণ। অফিসে সারাক্ষণ বসে বসে কাজ করা, হাঁটাচলার কম সুযোগ ইত্যাদি ভুঁড়ি বাড়িয়ে দেয়। ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যায় পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। দেহের মৌল বিপাকহার বা বিএমআরের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে পেটে মেদবৃদ্ধির প্রবণতা বেড়ে যায় অনেকখানি।
ধূমপান
ধূমপান কেবল ফুসফুসের ক্ষতি করে না, এটি শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করার কারণ। নিয়মিত ধূমপান করলে পরোক্ষভাবে বৃদ্ধি পায় স্থূলতার ঝুঁকি।
মদ্যপান
অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল দেহে যে স্নেহপদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তা কেবল ভুঁড়ি নয়, দেহের অভ্যন্তরের একাধিক অঙ্গেও জমা হয়। এছাড়াও, অ্যালকোহল পানে শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতার ক্ষতি হয়। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
অসচেতনতা
এসব কারণ ছাড়াও স্থূলতার অন্যতম কারণ হলো সচেতনতার অভাব। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করার অভ্যাস মানুষের বেশ পুরনো। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।