সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে অনেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা টিপস পান ঘরে বসেই। উপকারি একটি শস্য চিয়া সিডস। ওজন কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে এটি। পুষ্টিবিদরাও পানিতে এই বীজ ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু সবাই কি এর উপকার পাচ্ছেন? অনেকের ক্ষেত্রেই চিয়া সিডস খাওয়ার পর শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে কি এই শস্যদানা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয়?
চিয়া সিডসে আছে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরল ও রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিয়া সিডস খেলে কমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তবে সবার জন্য এটি উপকারি নয়।
বদহজমের সমস্যা
অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। এতে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার থাকে যা পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে। চিয়া সিডস খেলে বদহজম, গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব রোগে ভোগা ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালার্জি
কোনো অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে, চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো। অনেকসময় এটি ডায়ারিয়া, বমি, চুলকানির মতো প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে চিয়া সিডস না খাওয়াই ভালো।
প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি
চিয়া সিডে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। অন্যদিকে এই উপাদানই প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়।
নিম্ন রক্তচাপ
চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত পাতলা করে দেয়। দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্তপাত থামতেই চায় না। এমন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিয়া সিড থেকে দূরে থাকুন। এমনকি যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও এই চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো সময় প্রেশার কমিয়ে দিতে পারে এই বীজ।
ওজন বৃদ্ধি
অবাক হচ্ছেন? সত্যিই কিন্তু ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়েও দিতে পারে চিয়া সিডস। এই শস্য পরিমাণমতো না খেলে এমন সমস্যা হতে পারে। ২ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে প্রায় ১৩৮ ক্যালোরি রয়েছে।
কতটুকু চিয়া সিডস খেতে পারবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে এক থেকে দেড় চামচ চিয়া সিড খাওয়া যায়। পানিতে ভিজিয়ে কিংবা দুধ ও দইয়ে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। মনে রাখবেন, মাত্রাতিরিক্ত চিয়া সিড খেলেই কিন্তু বিপদ। তাই সুস্থ থাকতে উপকারি এই উপাদানটি খান পরিমাণমতো।