সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কেননা অতিরিক্ত ওজন নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি ক্রনিক অসুখের কারণও হতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ব্যায়ামের ওপর ভরসা রাখেন। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানেন কিংবা যোগব্যায়ামে ভরসা রাখেন। কিন্তু এমন যদি হয় কোনো পরিশ্রম ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে যাচ্ছে?

অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরের ওজন হ্রাস কিন্তু শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। এটি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে। কোনো কারণ ছাড়াই হু হু করে ওজন কমতে শুরু করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। একজন মানুষের ওজন কতটুকু স্বাভাবিক তা নির্ভর করে তার বয়স, খাওয়াদাওয়া, দিনে তিনি কতটা কায়িক পরিশ্রম করেন— এসব বিষয়ের ওপর। অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস কিছু শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

ডায়াবেটিস

রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। এতে ওজন কমতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কোনো ব্যক্তির ডায়াবেটিস হলে তার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। আর ইনসুলিনের অভাবে শরীরে কোষগুলো নিজেদের সচল আর শক্তিশালী রাখতে সাহায্য নেয় পেশী ও চর্বির। যার প্রভাবে শরীরের সামগ্রিক ওজন হ্রাস পায়।

মানসিক চাপ

অফিসের কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনের নানা সংঘাত প্রভাব ফেলে মনে। এতে বেড়ে যায় মানসিক উদ্বেগ আর চাপ। আর স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে তার প্রভাব পড়ে বিপাক হারের ওপর। এই বিপাক ক্রিয়া আবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য অত্যধিক মানসিক চাপে থাকলে দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে।

ক্যানসার

ক্যানসারে প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ওজন কমে যাওয়া। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশের ওজন হ্রাস পেতে দেখা যায়। খাদ্যনালী, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রের ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

তাই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়াকে কখনওই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। এতে খুশি হওয়ারও কিছু নেই। বিনা পরিশ্রমে যদি দ্রুত ওজন কমতে থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।