প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম (ভিজিট : ৪৫)
সরকারি নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ‘বাংলাদেশ ই-পার্টিসিপেশান পলিসি ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া তৈরি করেছে মিডিয়া অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরাইডি)। এই ফ্রেমওয়ার্ক কার্যকর হলে দেশের জনগণ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত জানাতে পারবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া উপস্থাপন এবং হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তরা এমন তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশিদ ভুঞা। ফ্রেমওয়ার্কের খসড়া প্রস্তাবটি কেন তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এমআরাইডির নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। পরে এমআরডির পক্ষ থেকে এটির একটি কপি নাগরিকতা-সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের ডেপুটি টিম লিডার ক্যাথারিনা কোনিগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি উপস্থাপন করেন আইসোশ্যালের চেয়ারপারসন ড. অনন্য রায়হান। তিনি তার প্রেজেন্টেশনে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের দিকে যাচ্ছে। এখন দেশের প্রায় ৯১ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। শহরাঞ্চলে ৯২ শতাংশ এবং গ্রামঞ্চলে ৯০ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। ধীরে ধীরে এটি শতভাগ হওয়ার পথে রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তে জনগনের অংশগ্রহণমূলক করতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে৷
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনজিও বিষয় ব্যুরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. দাউদ মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শীষ হায়দার চৌধুরী।
সচিব (সংযুক্ত) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বিশ্ব ডিজিটালাইজের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে। আমাদের এদিকে গুরুত্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা যত বেশি ই-পার্টিসিপেশন বাড়াতে পারবো, জনগনের সশরীরে উপস্থিতি কমাতে পারবো, সমাজে দুর্নীতি তত কমে আসবে।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় আমাদের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। হারিকেন ব্যবহার করতে হতো। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ১৫-২০ বছর আগেও আমাদের হাতে মোবাইল ছিল না৷ এখন বস্তিতে থাকলেও সবাই মোবাইল ব্যবহার করছে। বস্তির অনেক ঘরেও ল্যাপটপ আছে। ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্ব দিয়েই আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটালাইজেশনে খারাপ ভালো দুটি দিকই রয়েছে। একদিকে আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা কমে যাচ্ছে। আমরা আমাদের ইমোশনগুলো ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে মিশে নষ্ট করে ফেলছি। আমাদের প্রাইভেসি (গোপনীয়তা) কমে যাচ্ছে। এমন অনেক সমস্যা হচ্ছে। তা সত্বেও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের ই-পার্টিসিপেশনে গুরুত্ব দিতে হবে।