ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ৯নং রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লা বলেছেন, “স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
শাষক নয় জনগনের সেবক হয়ে কাজ করছি এবং এভাবেই সকলের সেবা করবো ইনশাল্লাহ ।
সরকারি ফিস ছাড়া আমার ইউনিয়নে কোনো নাগরিককে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না।”
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়—ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী সেবা প্রত্যাশীরা ভিড় করেছেন। কেউ বয়স্ক ভাতা, কেউ ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, কেউ মাতৃত্বকালীন ভাতা, কেউ চরিত্র সনদপত্র, কেউ জন্মনিবন্ধন, কেউ ওষুধের সাহায্য, আবার কেউ প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার কাছে আসছেন। তিনি সবার আবেদন ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে শুনে সেবা দিচ্ছেন। এমনকি সেবা নিতে আসা মানুষদের নিজ খরচে চা–বিস্কুট খাইয়েও সন্তুষ্ট করছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই সহজ-সরল ও সৎ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন তিনি। সেই যোগ্যতার ওপর ভর করেই রুপাপাত ইউনিয়নের জনগণ তাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, মানবিক সেবা সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার গরিবের বন্ধু, সমাজসেবক ও মানবদরদী একজন মানুষ। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশানসহ বহু স্থাপনার উন্নয়ন ও সংস্কার সম্পন্ন করেছেন। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, গর্ভকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও জন্ম সনদসহ সরকারি সুবিধাগুলো তিনি নির্ভুলভাবে সঠিক মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন।
স্থানীয় রাকিব বলেন, “মিজানুর রহমান একজন মানবিক চেয়ারম্যান। নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় সালিশ বাণিজ্য, চুরি-ছিনতাই বা গরিব-সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নেই। তিনি খুব কঠোরভাবে অন্যায় দমন করেন।”
তপন বিশ্বাস বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো সামাজিক কাজে তিনি পাশে থাকেন। পূজা-পার্বণেও উপস্থিত হয়ে সহযোগিতা করেন।”
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “পরিষদে গেলেই তিনি আন্তরিকতার সাথে কাজ করে দেন। সরকারি ফিস ছাড়া কখনো অতিরিক্ত টাকা নেন না। অনেকে না পারলে নিজের পকেট থেকেই ফিস দিয়ে সাহায্য করেন।”
চেয়ারম্যান মিজানুর মোল্লা বলেন, আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে বিশ্বাস করেছে, ভালোবেসেছে। এর বিনিময়ে আমি শুধু সেবা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জন্মেছি তো মরতেও হবে কিন্তু মরার পর মানুষ যেন আমাকে ভালো কাজে স্মরণ করে, সেই লক্ষ্যেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ হাসলে আমি খুশি হই। মানুষ কাঁদলে আমি পাশে দাঁড়াই। এটাই আমার রাজনীতি।”
তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সেবার বাইরেও অসহায় রোগীকে ওষুধ কেনা, প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার প্রদান, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ, দরিদ্র-মেধাবীদের বই ও নগদ অর্থ দেওয়া এবং অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান তৈরির মতো কাজ নিয়মিত করেন।
করোনা মহামারীর সময়ে সীমাহীন ত্যাগ ও ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,“পরিবারের কথা না ভেবে মানুষের জন্য কাজ করেছি। নিম্নবৃত্ত আর শ্রমিকরা যখন কাজ হারিয়ে অনাহারে ছিল, তখন নগদ অর্থ, খাবার ও ওষুধ দিয়েছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চাই।”
আমার ইউনিয়নের গরিব মানুষরা আমার আসল সাক্ষী। তাদের জন্য আমি সব করি।”
শেষে তিনি বলেন, “আমার ইউনিয়নের গরিব মানুষরা আমার আসল সাক্ষী। তাদের জন্যই আমি সব করি।