
ব্রডওয়ে সংগীতনাট্যের জনপ্রিয় রূপান্তর ‘উইকেড: ফর গুড’ বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে দাপট দেখাচ্ছে। প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ২২৬ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চলচ্চিত্রটি আয় করেছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার বাইরে ৭৮টি দেশে আরও ৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে প্রথম সপ্তাহে মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৬ মিলিয়ন ডলার।
স্টুডিওর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সর্বাধিক আয়কারী সংগীতনির্ভর সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি।সংগীতনির্ভর সিনেমার ইতিহাসে এটি উদ্বোধনী সপ্তাহে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়। এর আগে অবস্থান করছে ২০১৯ সালের ‘দ্য লায়ন কিং’ ও ২০১৭ সালের ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’।
টানা নয় সপ্তাহের হতাশার পর উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে নতুন প্রাণ এনে দিয়েছে ‘উইকেড: ফর গুড’। কমস্কোরের তথ্য অনুযায়ী, এতদিন কোনো সিনেমাই মোট টিকিট বিক্রি ১০০ মিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারছিল না। ইউনিভার্সালের দেশীয় বিতরণ বিভাগের সভাপতি জিম ওর বলেন, বহু বছরের শ্রমে নির্মাতা মার্ক প্লাট, পরিচালক জন চু এবং আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, সিনথিয়া এরিভো, জোনাথন বেইলিসহ পুরো দলের পরিশ্রম এভাবে সফল হওয়া অত্যন্ত আনন্দের। ‘উইকেড’র দ্বিতীয় কিস্তির এই চলচ্চিত্রে আবারও দেখা গেছে সিনথিয়া এরিভোর এলফাবা ও আরিয়ানা গ্র্যান্ডের গ্লিন্ডাকে। তাদের কেমিস্ট্রি দর্শকের মনে দাগ কেটেছে।
ব্রডওয়ে সংগীতনাট্যের রূপান্তর সবসময় দর্শকের মন জেতে না। ‘ডিয়ার ইভান হ্যানসেন’ কিংবা ‘ইন দ্য হাইটস’র মতো অনেক কাজ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। সে তুলনায় ‘উইকেড’-কে দুই ভাগে তৈরি করার সিদ্ধান্তটিকে শুরুতে ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে হয়েছিল বিশ্লেষকদের। তবে শিল্পবিশ্লেষক ড্যানিয়েল লোরিয়া বলেছেন, একই গল্প থেকে দুইটি ব্লকবাস্টার পাওয়া নিঃসন্দেহে দারুণ সাফল্য।
চলচ্চিত্রটির সাফল্যের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে চলা ব্রডওয়ে সংস্করণের জনপ্রিয়তা, পরিচালক জন চুর অভিনব কাস্টিং এবং জোরালো প্রচারণাকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এর আবেদন সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছে কমস্কোর।
যদিও সমালোচকদের মতামত ছিল মিশ্র। তবে দর্শকের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া ছবিটিকে বক্স অফিসে উড়ন্ত সূচনা দিয়েছে। সিনেমাস্কোরে এটি পেয়েছে ‘এ’ গ্রেড এবং রটেন টম্যাটোজে ৯৫ শতাংশ ইতিবাচক রেটিং।