প্রকাশ: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:১৬ পিএম (ভিজিট : ২০৬)

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে শেরপুর জেলার সামগ্রিক পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জেলার দুটি কলেজ- নালিতাবাড়ীর হিরণময়ী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সদর উপজেলার মনমথ দে কলেজ- এবার শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই ফলাফলকে ঘিরে শিক্ষা মহলে চরম হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শেরপুরে মোট ৮ হাজার ৭৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ২৫৬ জন, যা শতকরা ৪৮ দশমিক ৬৯ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল ৫৮ দশমিক ০১ ভাগ। অন্যদিকে, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শেরপুর জেলা এবারও পাসের হারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
সবচেয়ে ভালো ফল করেছে শেরপুর সরকারি কলেজ, যেখানে ১ হাজার ৬০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৫৩ জন পাস করেছে এবং ১৩৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সৈয়দ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “এ বছর সারাদেশেই ফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে শেরপুরের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো। শিক্ষার্থীদের আরও বেশি ক্লাসনির্ভর হতে হবে।”
ফলাফলের বিষয়ে সচেতন মহলের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাদান পদ্ধতি ও শিক্ষক উপস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
জেলা শিক্ষা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “দুই কলেজে শতভাগ ফেল মানে সেখানে শিক্ষাদান ও তদারকির অভাব প্রকট। এখনই নজর না দিলে শিক্ষার মান আরও নিম্নমুখী হবে।”
অভিভাবক রোকেয়া বেগম বলেন, “অনলাইন ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে কিছুটা বিমুখ হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা।”
সচেতন মহল মনে করেন, এই ফলাফল শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতার স্পষ্ট প্রতিফলন। তারা দ্রুত জেলার পিছিয়ে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানোন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।