
দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘অর্থহীন’-এর প্রধান বেজিস্ট ও ভোকাল সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন। তবে ‘বেজবাবা সুমন' নামেই তিনি বেশি পরিচিত। অনেকেরই ধারণা, দুর্দান্ত বেজ বাজানোর কারণেই সুমনকে বেজবাবা ডাকা হয়। বিষয়টা মোটেই এমন নয়। এই নামের পেছনের গল্পটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।মঙ্গলবার নতুন অ্যালবাম ‘ফিনিক্সের ডায়েরি ২’ ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিষয়টি পরিস্কার করেছেন সুমন নিজেই।
সুমন বলেন, ‘বেজবাবা টাইটেলের একটা মজার জিনিস আছে। আমি যেদিন বাবা হই সেদিন আমার এক স্টুডেন্ট আমাকে এসে বলে, বেজ বাবা। ব্যাপারটা কিন্তু এসেছে ওখান থেকে।’
ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি বাবা হওয়ার পর থেকে (এই নাম এসেছে)। আমি বেজের বাবা বা ফাদার অব বেজ, তেমন কিছু না। সেখান থেকে আসেনি। আমি বাবা হয়েছি যেদিন, সেদিন আমার এক্স স্টুডেন্ট এসে আমাকে বলে, বেজ বাবা।’
সুমনের কথায়, ‘আমার তখন ইন্টারনেটে আইআরসির যুগ ছিল। মেসেঞ্জারের যুগ না। আইআরসি ইন্টারনেট রিলে চ্যাট, ইন্টারনেট রিলে চ্যাট ছিল। ওইখানে আমার ইউজারনেমটা সে বেজবাবা নামে রেজিস্টার করে দেয়। সেখান থেকে আমার নামটা আসে বেজবাবা। সবাই ওটাকে ইন্টারপ্রেট করে যে ফাদার অব বেজ, এইভাবে ইন্টারপ্রেট করে। তারপর থেকে আমাকে বেজবাবা নামে ডাকা শুরু করে। আমার বয়স ছিল কম, আমাকে বেজ ডাকাতে আমার খুব ভালো লাগতো। ডাকছে এটা অনেক মজার ব্যাপার।’
প্রথমদিকে ব্যাপারটা মজার মনে হলেও, সময়ের সাথে সাথে তা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সুমন বলেন, ‘তারপরে একটা সময় শুনতে শুনতে ব্যাপারটা খুব নরমাল হয়ে যায়, আমার নামের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। এখন কেউ যদি বেজবাবা ডাকে তখন আমার কাছে এটা খুব নরমাল মনে হয়। কেউ সুমন ডাকলে যেরকম মনে হয়, বেজবাবা ডাকলেও সেরকম মনে হয়। সাইদুস খালেদ নাম ডাকলেও ওরকম মনে হয়।’
সুমন ভাষ্য, ‘ইনফ্যাক্ট বাইরে আমার যত বিদেশি ফ্রেন্ডরা আছে, বিদেশি মিউজিশিয়ান ফ্রেন্ডরা আছে, সবাই আমাকে বিবি ডাকে। বিবি। বাংলায় বিবি শুনতে অন্য জিনিস, বাইরে ওরা তো এটা জানে না। বাইরে সবাই আমাকে বেজ বাবা সংক্ষেপে বিবি ডাকে। আমি এখন খুবই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, আচ্ছা ঠিক আছে, বেজবাবা এখন মনে হয় যে এটাই আমার ডাকনামের একটা অংশ। এভাবেই নিয়েছি।’